দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অসুস্থ্য খালাকে দেখতে এসে গত শুক্রবার (৬জুলাই)  বেলা আড়াইটায় ধর্ষণ চেষ্টা শিকার হয়েছে নৃগোষ্ঠীর ১১ বছর এক কিশোরী। কিশোরী পিতা উকিল মুর্মু বাদী হয়ে ওইদিন রাতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার নবাবগঞ্জ উপজলার হাতিমারা আদিবাসীপাড়ার উকিল মুর্মু তার কিশোরী কন্যাকে নিয়ে গত শুক্রবার বেলা ২টায় ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন তার শ্যালিকা শান্তনী হাঁসদাকে দেখতে যান। সেখানে শ্যালিকাকে দেখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরের ফাঁকা স্থানে বসে অন্য আত্মীয়দের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে তার কিশোরী কন্যাকে অসুস্থ্য শ্যালিকার কাছে রেখে আসা ব্যাগ থেকে পান আনতে পাঠান।

কিশোরীটি তার খালার কাছ থেকে পান আনতে সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় ওঠার পরপরই পূর্ব থেকে অবস্থানরত পৌর এলাকার উত্তর সুজাপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকার মৃত তফসের রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৩) ওই কিশোরীর মুখ চেপে জোরপূর্বক দোতলার ছাদে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় কিশোরীর চিৎকারে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা ঘটনাস্থলে ছুঁটে গেলে আলমগীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়।

অভিযোগ দায়েরকারী ওই কিশোরীর পিতা উকিল মুর্মু বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযোগ দায়ের করার পূর্ব পর্যন্ত অভিযুক্ত আলমগীরকে স্থানীয়দের নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মেয়ের চিৎকারে লোকজন ঘটনাস্থলে না গেলে আলমগীরের অত্যাচারে তার কিশোরী মেয়ের হয় তো বা মৃত্যুই ঘটতে পারতো। এ কারণে তার শাস্তির জন্য থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সঞ্জয় কুমার গুপ্ত বলেন, ওই কিশোরীর অভিভাবকদের কাছ থেকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়েছে এমন কথা শুণেছেন। তবে ঘটনার সময় চিকিৎসক কিংবা কোন নার্স ঘটনাটি দেখেন নি।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব বলেন, কিশোর পিতা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে দোষি প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

(এসিজি/এসপি/জুলাই ০৭, ২০১৮)