স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির তুলনা চলছে ব্রাজিল বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক দিয়েগো ম্যারাডোনা সঙ্গে।

বিশ্বকাপের সময় বাড়ার সাথে সাথে দুই বিশ্বকাপের আর্জেন্টাইন অধিনায়কদের মধ্যে তুলনা বেড়ে চলছে সমান্তরালে।

২০১৪ বিশ্বকাপের মেসি ও ৮৬ বিশ্বকাপের ম্যারাডোনা যেন একই মানুষ হয়ে যাচ্ছেন। দুই বিশ্বকাপে দুজনের রেকর্ড মিলিয়ে দিচ্ছে দুজনকে।

রবিবার মারাকানায় ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে মেসি যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন তবে ২৮ বছর আগে ও পরে ফুটবলের সেরা দুই লিজেন্ডের অনেক কিছুই এক বিন্দুতে এসে দাঁড়াবে।

দেখে নেওয়া যাক ৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক মারাদোনা ও ২০১৪ বিশ্বকাপের নায়ক হয়ে ওঠার অপেক্ষায় থাকা মেসির নৈপুণ্যের মিল-অমিল।

৮৬’তে ম্যারাডোনা
মাঠে থেকেছেন: ৬৩০ মিনিট
গোল: ৫টি
গোলে সহায়তা: ৫টি
গোলে অবদান: ৭১%
গোলের সুযোগ তৈরি: ২৭টি
ড্রিবল: ৭
দলের মোট গোল: ১৪টি

মেসি
মাঠে থেকেছেন: ৪৫৩ মিনিট
গোল: ৪টি
গোলে সহায়তা: ১টি
সুযোগ তৈরি: ১৯টি
গোলে অবদান: ৬২%
ড্রিবল: ৯
দলের মোট গোল: ৮টি

ব্যক্তিগত অর্জন: ৮৬’তে ম্যারাডোনা সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে গোল্ডেন বল পান। এবার ট‍ানা চার ম্যাচে সেরা নির্বাচিত হয়ে গোল্ডেন বলের অন্যতম দাবিদার মেসি।

একক প্রচেষ্টায় গোল: মেসি এবারের বিশ্বকাপে ইরান ও বসনিয়া এবং নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জয়ী যে তিন গোল করেছেন তার সবক’টিই এ বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা গোল। ইরান ও বসনিয়ার বিরুদ্ধে করা গোল দুটি কয়েক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে করা একক প্রচেষ্টার গোল।

১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ‘চিরশত্রু’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ৫১ মিনিটে রেফারিকে ফাঁকি দিয়ে হাত দিয়ে বল জালে পাঠান ম্যারাডোনা। যেটি হ্যান্ড অব গড খেতাব পায়। এর ৪ মিনিট পর মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ছয় ইংলিশ খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ও শেষে গোলকিপারকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান। যেটি শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে বিবেচিত।

পরে বেলজিয়ামের সঙ্গে সেমিফাইনালে ১২ মিনিটের ব্যবধানে আরো দুটি একক প্রচেষ্টার গোল করেন এই লিজেন্ড।

২৮ বছর ‍আগে ম্যারাডোনার হাত ধরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ২৮ বছর পর মেসির কাঁধে ভর করে আবারো চ্যাম্পিয়ন হবে বলে বিশ্বাস আলবিসেলেস্তেদের।

(ওএস/পি/জুলাই ১৩,২০১৪)