লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় গৃহবধূ আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আত্মহত্যার শিকার রুমকির পিতা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে রুমকির স্বামী ও ভাসুরের নামে শনিবার (৭ জুলাই) রাতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের লোহাগড়ার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের মেয়ে রুমকি খানম (২৬)‘র সাথে মহিষা পাড়া গ্রামের রশিদ মোল্যার ছেলে আমিনুর রহমান (৩২)‘র সাথে গত ২০১২ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে রাকিন নামে (৪) বছরের এক পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। বেশ ভালই চলছিলো তাদের সংসার। কিন্তু বিধি বাম ! স্বামী আমিনুর মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায়শই তাদের সংসারে দ্বন্ধ ও কলহ লেগে থাকতো।

স্বামীর মাদকাশক্তির বিষয় নিয়ে আমিনুরের বড় ভাই লোহাগড়া বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী কচি মোল্যার সাথে রুমকির ঝগড়া-ফ্যাসাদও হয়। রুমকি তার স্বামীকে নেশার পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তথাপিও মাদকাসক্ত স্বামী আমিনুর স্ত্রীর কথা না শোনায় রুমকি ক্ষোভে-দুঃখে গত ১১ জুন আতœহননের পথ বেছে নেয়। এ দিন রুমকি লোহাগড়া বাজার সংলগ্ন বাসা বাড়িতে সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে দড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ সময় স্বামী আমিনুর বাড়িতে ছিলেন না।

এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুমকিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ২১/১৮। গত ১২ জুন নড়াইল সদর হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত শেষে তাকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে রুমকির পিতা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে রুমকির স্বামী আমিনুর ও ভাসুর কচির নামে গত শনিবার (৭ জুলাই) রাতে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লোহাগড়া থানার এসআই আতিকুজ্জামান জানান, আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

(আরএম/এসপি/জুলাই ০৭, ২০১৮)