চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর বিতর্কিত ম্যাক্স হাসপাতালে র‌্যাব-৭ এর একটি টিম মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিভিন্ন অভিযোগে হাসপাতালটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। এ অভিযানের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সব বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবা বন্ধের ঘোষণা করেছে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতি।

রবিবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে র‌্যাব-৭ এর দলটি ম্যাক্স হাসপাতালে যায়। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের এ অভিযানে নেতৃত্বে দেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি ডা. দেওয়ান মো. মেহেদি হাসান, চট্টগ্রাম ওষুধ প্রশাসন তত্ত্বাবধায়ক গুলশান জাহানসহ র‌্যাবের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, ম্যাক্স হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানে ত্রুটিপূর্ণ লাইসেন্স অদক্ষ-অনভিজ্ঞ ডাক্তার-নার্স দ্বারা পরিচালনার বেশকিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে অংশ নেয়া একটি সূত্র জানায়, বিভিন্ন রোগের ডায়াগনোসিস ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করে মর্মে প্রচার হলেও মূলত তারা প্যাথলজিক্যাল টেস্টগুলো করে আনে পপুলার থেকে। পরে ম্যাক্সের প্যাডে তা প্রচার করে। প্রাথমিকভাবে এ ধরনের বিভিন্ন অনিয়ম ভ্রাম্যমাণ আদালতের চোখে ধরা পড়েছে। এছাড়া বিদেশি ওষুধ রাখলেও সেগুলোর কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে দুপুরে নগরীর বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভা থেকে চট্টগ্রামের সব বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবা বন্ধের দেয় বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতি।

বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, নগরীর বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সেবাও বন্ধ থাকবে।’

তবে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সেবা দেয়া অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতির এই সিদ্ধান্তে একাত্মতা জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম জেলা শাখা।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৭, ২০১৮)