বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্র দয়িত্ব থাকা কাস্টমস সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তারেক এহসান ও মোঃ হাসান গড়ে তুলেছে ল্যাগেজ ব্যবসার একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট যা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করছে ঘুষের হাজার হাজার টাকা। 

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক কাস্টমসে গিয়ে দেখা যায় স্ক্যানার মেশিনে ডিউটি করছেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ হাসান তার হাতে রয়েছে ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের হিসাব লেখার জন্য একটি কলম ও সাদা কাগজ কার কয়টি ল্যাগেজ যাচ্ছে সেই হিসাব গুলো লেখা হচ্ছে। বিকাল ৫টার পর হিসাব দেখে চেকপোষ্টে সোনালী ব্যাংকের পাশে একটি রুমে আদায় করা হবে ঘুষ।যা সিসি ক্যামেরা দেখলে সব পাওয়া যাবে।

সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ হাসান এর বিরুদ্ধে ডিউটি ফ্রি শপ থেকে বিদেশি মদ নিয়ে বিজিবি চোখ ফাঁকি দিয়ে বাহির বিক্রি করে বলে জানাগেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ল্যাগেজ ব্যবসায়ী জানান চুক্তি অনুযায়ী ব্যাগ প্রতি ১ হাজার টাকা দিতে হয়। আর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ হাসান থাকলে টাকা একটু বেশি দিতে হয় আবার ব্যাগ থেকে শাড়ি থ্রিপিস নিয়ে নেয় এ কর্মকর্তা।

সরেজমিনে আরো দেখা যায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কলকাতা ঢাকা সরাসরি চলা একটি বাস চেকপোস্টে আসলে সব ব্যাগ স্ক্যানার মেশিনে না নিয়ে ল্যাগেজ চেকিং না করে সুপার ভাইজারের হাত থেকে একটি খাম নিয়ে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ হাসান কে চলে যেতে দেখা যায়। ঐ খামের ভিতর ঘুষের টাকা বলে অনেকে জানিয়েছে।

সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ হাসান নিজেকে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছের লোক বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। যার কারনে অন্য কর্মকর্তারা কোন কথা বলতে সাহস পাই না বলে শুনা যায়। সিন্ডিকেট করে ল্যাগেজ পার দিয়ে লাখ টাকা ঘুষ আদায়ের ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক কাস্টমসে দায়িত্ব থাকা রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার এখানে কোন সিন্ডিকেট নেই।

(এসএইচ/এসপি/জুলাই ০৭, ২০১৮)