স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ব্রাজিল মান বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেও সব হারিয়েছে। ব্রাজিল সমর্থকরা ম্যাচ শুরুর আগে টিভির পর্দায় সাইডলাইনে বসা নেইমারের হাসি দেখে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। নেইমার মাঠে নেই তো কি হয়েছে? সাইড লাইনে তো আছে দলকে উৎসাহ জোগাতে! কিন্তু, না। কিছুতেই কিছু হলো না! প্রথমার্ধ শেষের বাঁশি যখন রেফারি বাজালেন তখন ক্যামেরা ফোকাস হলো নেইমারের মুখে। ১৬ মিনিটেই দুই গোল খাওয়া ব্রাজিলিয়ান তারকার মুখে বিষন্নতার ছাপ!

ব্রাজিল প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল। আবারো আশায় বুক বেঁধেছিল দর্শক ভর্তি গ্যালারি, বিশ্বজুড়ে ব্রাজিল ফুটবল ফ্যানরা। আশা আশাই থেকে গেল! উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে হজম করতে হয় আরো একটি গোল! পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরোতেই পারলো না ব্রাজিল।

সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানের হারের লজ্জার রেশ না কাটতেই ৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরে আরো একটি লজ্জাজনক পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে। স্টেডিয়ামে ক্ষুদে সমর্থকদের কান্না, আর বড়দের মুখে হতাশার চিহ্ন।

ব্রাজিল লজ্জাজনক পরাজয় নিয়েই শুধু মাঠ ছাড়েনি। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ব্রাজিল সমর্থকদের ডুবিয়েছে লজ্জায়। প্রিয় দল যতদিন না ভাল কিছু করতে পারবে ততদিন লজ্জা বয়ে বেড়াতেই হবে সমর্থকদের। পথে-ঘাটে, অফিস-আদালতে সব জায়গায় লজ্জার হাসি হাসতে হবে তাদের। এ হাসি করুণ রসের সৃষ্টি করবে সন্দেহ নেই। সেই সঙ্গে ফেসবুক, মোবাইলে অন্যদলের সাপোর্টারদের দেওয়া ব্যঙ্গাত্মক খোঁচা তো আছেই! আর এক বিশ্বকাপের আসর আসতে আরো চার বছরের অপেক্ষা, সে পর্যন্ত অপেক্ষা ব্রাজিল সমর্থকদের।

(ওএস/পি/জুলাই ১৩,২০১৪)