জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : হালুয়াঘাটে পূর্ব বিরোদের জের ধরে অসহায় একটি পরিবারকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী আব্দুল ওয়াহাব গংদের বিরোদ্বে।ধারা ইউনিয়নের কুতুরা গ্রামের আব্দুল বারীর পরিবারকে উচ্ছেদের জন্য একই গ্রামের প্রভাবশালী মৃত হাজ্বী হাবীবুল্লাহ এর পুত্র আব্দুল ওয়াহাব স্থানীয় লাঠিয়াল বহিনী দিয়ে বাড়ী ঘর ভাংচুর কওে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করছেন।

আব্দুল বারী ও তার স্ত্রী নাজমা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, ধারা ইউনিয়নের কুতুরা গ্রামের মৃত হাজ্বী হাবীবুল্লাহ এর পুত্র আব্দুল ওয়াহাব,ইব্রাহীম বিশ্বাস এর পুত্র আব্দুল হান্নান, সালামত উল্লাহ এর পুত্র শফিকুল ইসলাম শফি, সাহাব উদ্দিন এর পুত্র আব্দুল হেলিম ও মফিকুল, তহুর উদ্দিনের পুত্র আমিনুল, রইছ উদ্দিন ও নগুয়া গ্রামের গেতু মিয়ার পুত্র মফিকুলসহ লাঠিয়াল বাহীনি দিয়ে প্রতিনিয়তই বসতবাড়ী ভাংচুর করার হুমকী প্রদান করছেন।

সম্প্রতি সময়ে তাদের বসতবাড়ীর গাছপালা কেটে ফেলে গত শুক্রবার তাদেরকে ঘরে আটক করে পুকুর থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। ১৭ কাটা জমি বন্ধকের ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। ফসলী জমির তিন একরের অধিক জমিতে ধান চাষাবাদ করতে বাঁধা প্রদান করায় দীর্ঘদিন ধরে জমি গুলি পতিত পরে আছে। বসতবাড়ী ভাংচুর করে চলে না গেলে তারা লাঠিয়াল বাহীনির মাধ্যমে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ী ভাংচুর করে তাড়িয়ে দিবেন। থানায় মামলা করতে গেলে মেরে লাশ গুম করার হুমকী প্রদান করছেন। সামাজিক ভাবে ফয়সালার জন্য একাদিক বার সালিশ দরবার অনুষ্ঠিত হলেও সালিশ দরবার মানচ্ছেন না বলে জানান।

এ বিষয়ে আব্দুল ওয়াহাবগংদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বসতবাড়ীতে আব্দুল বারীর স্বল্প জমি রয়েছে। চাষাবাদের জন্য আবাদী জমি গুলি তাদের তাই তারা চাষাবাদ করতে বাঁধা প্রদান করছেন। ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বন্ধকী জমি তার ভাইয়ের সাথে লেনদেন হয়েছে। নিজেদের জমি থেকে বসতবাড়ীর গাছপালা কেটেছেন। মাছ ধরার বিষয়টি সত্য বলে জানান।

এ ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় তিনি কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

(জেসিজি/এসপি/জুলাই ০৭, ২০১৮)