সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আহবায়ক কমিটির সভাপতি হতে ইচ্ছুক এক প্রার্থী ও তার সমর্থকদের হাতে শনিবার দুপুরে হামলার শিকার হন কেন্দুয়া উপজেলার জয়কা সাতাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকার।

এ ঘটনার একদিন পর রোববার বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষক মো: কামরুজ্জামান, রহিম নেওয়াজ, মো: নাসির উদ্দিন, শফিউল আলম, আয়শা আক্তার, মো: আব্দুল মালেক, মো: মামুনুর রশিদ, মো: হাবিবুল্লাহ ও কল্পনাবালা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জমাদেন। এতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি ও মাদকাসক্তের অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন তপন চন্দ্র সরকার একজন পুরোপুরি মাদকাসক্ত ব্যক্তি, যা শিক্ষক জাতির জন্য কলঙ্ক। তিনি প্রায়ই মাদকাসক্ত হয়ে বিদ্যালয়ে এসে অস্বাভাবিক আচরন করেন বলে শিক্ষক কর্মচারিদের দাবী।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার একদিন পর তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি ও মাদকাসক্তের অভিযোগ দিয়েছেন এ বিষয়ে সহকারি শিক্ষক শফিউল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হামলা হয়েছে কিনা আমি জানিনা, আমার পরীক্ষার ডিউটি ছিল বিকালে, তবে বিদ্যালয়ে এসে অন্যান্য শিক্ষদের কাছ থেকে শুনেছি সভাপতি প্রার্থী আব্দুস ছালাম বাঙ্গালী কয়েকজন লোক নিয়ে বিদ্যালয়ে এসেছিলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

লিখিত অভিযোগের কথা স্বীকার করে শফিউল আলম বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কথা বার্তা, চালচলন, আচার ব্যবহার ও রিতিনীতিতে কোন আদর্শিক গুণাবলি ফুটে উঠেনা। তার আচরণে অতিষ্ঠ হয়েই আমরা শিক্ষক কর্মচারীরা এ লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ ব্যপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকারে সঙ্গে ০১৭৭৮৮৭২৭৯৩ নম্বরে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার নম্বর বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে আছেন। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগটিতে তাকে অনুলিপি দেয়া থাকলেও লিখিত অভিযোগটি তিনি পাননি বলে জানান।

তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনাটি তাকে রোববার দুপুরে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকার। এ ব্যাপারেও লিখিত অভিযোগ তিনি পাননি। জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

(এসবি/এসপি/জুলাই ০৭, ২০১৮)