সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিসহ প্রাইমারী এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (পিইডিপি-৩) স্লিপ পরিকল্পনা ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আওতাধীন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রতি অর্থ বছরে স্লিপ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজের জন্য ৪০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত সেই অর্থ দিয়ে স্লিপ কমিটি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ করার কথা থাকলেও সেই কমিটিকে পাশ কাটিয়ে পাঁচিলা ক্লাস্টার ও উধুনিয়া ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ আলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম.জি মাহমুদ ইজদানীর সাথে যোগসাজস করে ওই ক্লাস্টারের আওতাধীন স্কুলগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের কথা বলে প্রধান শিক্ষকদের নিকট থেকে নগদ ২০ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

হাতিয়ে নেওয়া অর্থ দিয়ে পাঁচিলা ক্লাস্টারের ২৪টি স্কুলের মধ্যে কয়েকটি স্কুলে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নাম মাত্র শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলেও এখনও বেশ কয়েকটি স্কুলে এ শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। এ নির্মাণ কাজে তিনি অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।

একইভাবে তারা উধুনিয়া ক্লাস্টারের আওতাধীন স্কুলগুলো থেকেও অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে আরও জানা যায়, সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফ আলী দীর্ঘ ৮ বছর ধরে উল্লাপাড়া উপজেলায় কর্মরত থাকার কারনে শিক্ষা অফিসটিকে নিজ বাড়ি বানিয়ে রেখেছেন এবং শিক্ষকদের সাথে অশোভনীয় আচারণ করেন বলে একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন।

এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের স্লিপ কমিটির সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঁচিলা ও উধুনিয়া ক্লাস্টারের আওতাধীন একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, স্লিপ কমিটির মাধ্যমে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের আনুসাঙ্গিক কাজ করতে হয়।

কিন্তু নিয়ম বর্হিভূতভাবে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফ আলী স্লিপ কমিটিকে কাজ করার সুযোগ না দিয়ে তিনি শহীদ মিনার নির্মাণের কথা বলে তাদের নিকট থেকে জোরপূর্বকভাবে ২০ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এতে শিক্ষকেরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বদলীর হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করেন।

ফলে ক্লাস্টারের আওতাধীন প্রধান শিক্ষকগণ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম জি মাহমুদ ইজদানীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

তবে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও ক্লাস্টারের দায়িত্ব নিয়োজিত কর্মকর্তা আশরাফ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঠিকাদারের মাধ্যমে এ শহীদ মিনারগুলো নির্মাণের কাজ করা হয়েছে।

(এমএএম/এসপি/জুলাই ০৯, ২০১৮)