সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : গলাচিপায় বোয়ালিয়া গ্রামের আপন ভাইপো আনোয়ার হাং ও আনছাসার হাং সহ ৬জনের বিরুদ্ধে গলাচিপা বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজেষ্ট্রিট আদালতে মামলা দায়ের করেন। বাদী জলিল হাং কাছে আসামীরা চাঁদা চাওয়ায় এ মামলা হয় । মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক পটুয়াখালী  পুলিশ তদন্ত ব্যুরোকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য দায়িত্ব অর্পণ করেন। মামলা নং সি/আর ৪৫৬/১৮। এ নিয়ে জলিল হাওলাদার ভাইরপোরদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের বাদী ও বিবাদী বাসিন্দা। আসামীরা বাদীর কাছে তিন লক্ষ চাঁদা দাবী করে আসছে। টাকা বাদী টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে তার উপর শত্র“তা পোষন করে। গত ৮জুন বাদী ৬টি গরু নলুয়াবাগী বাজার হতে বিক্রি করে বাড়ী ফেরার পথে তার নিজ বাড়ীর সামুদাবাদ রোডে পৌছা মাত্রই আসামীরার এলোপাতারি ভাবে কিল ঘুষি, পিটাইয়া মারাত্মক জখম করে ও ভয় দেখিয়ে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়া যায় বলে মামলা উল্লেখ করেন।

বিবাদী আনোয়ার হাং জানান, বাদী আমার আপন চাচা। চাচা জালিল হাং বাবা সেরালী হাং একত্রে যৌথ পরিবারে ছিল। সংসার পরিচালনা করত জলিল হং। প্রায় ২৫বছর আগে সংসার আলাদা হয়। সেরালী হাং এর প্রথম স্ত্রী মারা যাবার পর ভাই জলিল হাং তাকে দ্বিতীয় বিবাহ করান। প্রথম ঘরের সন্তানদের আলাদা করার চক্রান্ত করে ও আলাদা করে দেয়া হয়। অতপর সুকৌশলে ওই ভাইয়ের জমি জলিল হাং ক্রয় করে রাখে। এ করেও তিনি ক্ষান্ত হয়নি আনোয়ার হাং ও আনছার হাং দুই ভাই চাচাত ভাই মালেক হাং কাছ থেকে সামুদাবাদ রোডের পূর্ব পাশে বোয়ালিয়া নামক স্থানে ১৩কড়া জমি ক্রয় করে। ওই জমি ও জলিল হাং জমি একই খতিয়ানে থাকায় লোপ পড়ে চাচার। নানা ছল ছাতুরিতে ও মামলার ভয় দেখিয়ে আনোয়ার হাং ও আনছার হাংকে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছে যার মূল্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা অথচ চাচা আমাদের কে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছে। তার পরও শান্ত না হয়ে চাচা জলিল হাং আপন ভাইপোদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।

এদিকে, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের আওলামী লীগের সা: সম্পাদক আ ছালাম হাং জানান, ভাইপোদের বিরুদ্ধে আ: জালিল হাং মিথ্যা মামলা দিয়েছে। যাদের উপর মামলা তদন্ত দিয়েছে তারা এলাকায় আাসলে মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমানিত হবে। একই কথা জানালেন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহজাদা পন্ডিত ও সোহরাব ফকির।

গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিক মিয়া জানান, বাদী ও বিবাদীরা উভয়ই প্রতিবেশী। মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: হাবিবুর রহমান হাদি জানান, এ ধরনের চাঁদা বাজীর ঘটনা ঘটেনি।

(এসডি/এসপি/জুলাই ১০, ২০১৮)