সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : পাঁচ বছর ধরে অরক্ষিত অবস্থায় আছে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া খাদ্য গুদাম। দুটি খাদ্য গুদামে ১ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য ধারন করার ক্ষমতা আছে। তবে সামনে ও পেছনের দুটি গেট বছরের পর বছর ধরে না থাকায় খাদ্য গুদাম দুটি অরক্ষিত অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে। কেন্দুয়া কলেজ রোডের পাশে বাজারের উত্তর প্রান্তে খাদ্য গুদাম ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয়। গুদাম ও কার্যালয়ের চারদিকে বাউন্ডারী দেয়াল আছে। 

সম্পূর্ণ নিরাপত্তার স্বার্থে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষনা দিয়ে ছোট্ট একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো আছে, কিন্তু সাইন বোর্ডটির পাশেই খাদ্য গুদামের মূল গেট। গেট না থাকায় দিন রাত খোলা থাকে, ফলে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষনা থাকলেও সবসময় জনসাধারন অবাধে চলাচল করছে। তাছাড়া গুদামে খাদ্যশস্য আনা নেয়া করার জন্য কয়েক বছর আগে নিরাপত্তা প্রহরী গেট খুলে দিলে ট্রাক ভর্তি করা হত অথবা খাদ্য শস্য নামানো হত।

বর্তমানে গেট না থাকায় সরাসরি ট্রাক গুদামের বাউন্ডারীর ভেতর ঢুকে আবার নির্বিঘ্নে বের হয়ে আসতে পারে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অরক্ষিত খাদ্য গুদামের মজুদকৃত খাদ্য শস্যের যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন।

কেন্দুয়া বাজারের বিশিষ্ট খাদ্য শস্য ব্যবসায়ী ফরিদ আলম তালুকদার মঙ্গলবার বলেন, সরকারি নিয়ম মোতাবেক একটি খাদ্য গুদামের এলাকা সংরক্ষিত এলাকা। কিন্ত গত কয়েক বছর ধরে কেন্দুয়া খাদ্য গুদামের সামনের পেছনের দুটি গেট না থাকায় গুদাম দুটি অরক্ষিত অবস্থায় থাকে। যা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। তিনি সরকারের কাছে জরুরী ভাবে দুটি গেট নির্মানের জোর দাবি জানান।

অরক্ষিত খাদ্য গুদামের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: জয়নুল আবেদিন ও খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, সামনের পেছনের দুটি গেটই নেই। গেট দুটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসে সরেজমিন দেখে গেছেন। আশা করছি নতুন অর্থ বছরের মধ্যেই গেট নির্মাণের কাজ শুরু এবং শেষ হবে। গেট না থাকায় সব সময় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে বলে দাবি করেন এই দুই কর্মকর্তা।

(এসবি/এসপি/জুলাই ১০, ২০১৮)