সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : প্রশিক্ষণ বিহীন সিএনজি চালক। যাদের নেই কোন প্রশিক্ষন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স। এদের মধ্যে আবার অনেকেই অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক। জীবিকার তাগিদে তারা প্রতিদিন ট্রাফিক আইন অমান্য করে যাত্রী নিয়ে মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে। ফলে প্রায় প্রতিদিনই দূর্ঘটনার কবলে পরছেন তারা। এতে যেমন ক্ষতি হচ্ছে চালকের তেমন ক্ষতি হচ্ছে যাত্রী সাধারনের। 

অনেক সময় হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে ট্রাফিক আইন অমান্য করে চলে আসলেও এদের সঠিক আইনে নিয়ন্ত্রন করার যেন কেউ নেই। কেন্দুয়া- নেত্রকোনা, কেন্দুয়া - ময়মনসিংহ, কেন্দুয়া - কিশোরগঞ্জ, এবং কেন্দুয়া মদন সড়কে প্রায় ২ শ সিএনজি প্রতিদিন যাত্রী নিয়ে মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে। কয়েক বছর আগেও এসব সড়কে বাস, মিনি বাস চলাচল করত। যাত্রীরাও অনেক নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁচাতে পারতেন। কিন্তু গ্যাস চালিত সিএনজির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় শুধু দূরপাল্লার বাস ছাড়া এসব রাস্তায় সিএনজিই একমাত্র যাত্রীদের বাহন।

এছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই যাত্রীদের। দুর্ঘটনার কবলে পরতে হবে জেনেশুনেও যাত্রীদের যোগাযোগের অন্য কোন মাধ্যম না থাকায় সি.এন.জিতেই পরিবার পরিজন নিয়ে চলাচল করছে। অনেক সময় কেন্দুয়া ময়মনসিংহ সড়কে বাসের ধাক্কা খেয়ে সি.এন.জির চালক সহ সব যাত্রীরাই প্রাণ হারিয়েছে। কেন্দুয়া সি.এন.জি ষ্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন ময়মনসিংহে ৩০ - ৩৫টি, নেত্রকেনায়, ২৫ -৩০ টি কিশোরগঞ্জে ২০ - ২৫টি এবং মদন সড়কে ১০ - ১৫টি সি.এন.জি চলাচল করে। একই পরিমান সিএনজি নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, এবং মদন থেকেও যাত্রী নিয়ে কেন্দুায় আসে।

ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা খোশ মাহমুদ জানান, সি.এন.জি চালকদের প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেক সময় তাদেরকে দূর্ঘটনায় পরতে হয়। ২/৩ টি রাস্তায় বছরে অন্তত অর্ধ শতাধিক দূর্ঘটনা ঘটে। এতে চালক সহ যাত্রী সাধারণও হতাহত হয়। তাদের প্রশিক্ষণ ও নিয়মের মধ্যে চলাচল করতে শ্রমিক সংগঠন সহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

গত কয়েকদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকতাদিরুল আহমেদের সভাপতিত্বে গত কয়েক দিন আগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সি.এন.জি চালকদের সরকারি ভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলে ধরেন বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র মো: আসাদুল হক ভূঞা। একই দাবি সমর্থনে প্রশিক্ষনের দাবি তুলেন কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন ভূঞা।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইমারত হোসেন গাজী বলেন, সি.এন.জি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রশিক্ষণ খুবই জরুরী। তাদের প্রশিক্ষন দেয়া হলে অনেক দুর্ঘটনা কমে যাবে। ফলে যাত্রী সাধারণ নির্বিঘ্নে নিরাপত্তায় চলাচল করতে পারবে সি.এন.জিতে।

(এসবি/এসপি/জুলাই ১০, ২০১৮)