গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর হটিকালচার সেন্টারের উদ্যান তত্ত্ববিদ রকিব আল রানা’র বিরুদ্ধে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মাসাৎ, রাজস্ব ফাঁকি, গাছের চারা বিক্রি’র টাকা অত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত অফিসের জন্য জুন মাসে আবাসিক ভবন সংস্কার ও মেরামতের জন্য ১লাখ ৫০হাজার টাকা ও অন্যান্য মেরামতের জন্য ১লাখ ৫০হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু এই অফিসে কোন আবাসিক ভবন নেই। ভূয়া-বিল ভাউচারের মাধ্যমে এ অর্থ উত্তোলন করে হাতিয়ে নেন উদ্যান তত্ত্ববিদ রকিব আল রানা। অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর রোববার (৮জুলাই) অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, কাঠ ও বাজার থেকে ক্রয় করা নিম্নমানের পিলার দিয়ে একটি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে।

অভিযোগকারীদের বর্ণনামতে, বিভাগীয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দেয়ার পরই রাকিব আল রানা নিজেকে বাঁচাতে এ ঘর নির্মাণ করে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন।

রাকিব আল রানা ২০১৬সালে এ অফিসে যোগদানের পর ১৬টি ভুয়া-বিলভাউচার জমা দিয়ে লুটে নেন ৩ লাখ ১৯হাজার ৮২৫টাকা। এ বিলে জমা দেয়া একটি ফার্ণিচার দোকানের ৬টি বিলের কোন সত্যতা খোঁজে পাওয়া যায়নি। অফিসে খোঁজে পাওয়া যায়নি এসব ফার্ণিচার।

এদিকে ১৫জুন ২০১৭ তারিখে উপ-পরিচালক নেত্রকোনা খামারবাড়িতে ৩১হাজার টাকার চারা বিক্রি করা হয় ১৬৩৬৬৪নং রশিদে। কার্বন কপিতে মাত্র ১৫টাকা লিখে ৩০হাজার ৯৮৫টাকাই আত্মাসাতের অভিযোগ রয়েছে। ১৯জুন ২০১৭ তারিখে ৪হাজার ৪শ টাকা গাছের চারা বিক্রি রশিদে রয়েছে। একই তারিখে কার্বন কপিতে মাত্র ১০টাকা লিখে সরকারি তহবিলে জমা দেয়া হয়। গায়েব হয়ে যায় ৪হাজার ৩৯০টাকা। এতে দু’বছরে সরকারের প্রায় ২লাখ টাকা রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এসব অভিযোগ শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যেই করা হচ্ছে উল্লেখ করে রকিব আল রানা বলেন, আবাসিক ভবনের টাকা পেয়েছি তা ব্যাংকেই জমা আছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। আগে এক সময় আবাসিক ভবন ছিলো, এখন নেই। যে বরাদ্দ পেয়েছি তা দিয়েই ঘর তৈরি করা হচ্ছে। নিজের টাকা দিয়ে সিসি ক্যামেরা ও অফিস সংস্কার-মেরামত করেছি। কোন টাকাই আত্মাসাৎ হয়নি। স্থানীয় কিছু লোকজন প্রভাব কাটিয়ে কোন অফিসারকেই এখানে থাকতে দেয় না।

(এসআইএম/এসপি/জুলাই ১০, ২০১৮)