সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সড়ক মেরামতে নিম্ন মানের কাজে ঠিকাদারকে সহযোগিতা করায় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ঘুড়কা বাজারে গত রবিবার জনতা কর্তৃক অবরুদ্ধ হয় রায়গঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম । এনিয়ে সোমবার ভোরে আবরো নিম্নমানের কাজ কারায় জনতা কর্তৃক উপ-সহকারি প্রকৌশলী প্রহৃত হয়েছে। বিষয় গুলো নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই প্রকৌশলী ও সব ঠিকাদার রায়গঞ্জ পৌর সভার মেয়র আব্দুল্লাহ আল-পাঠান ও তার ছোট ভাই কথিত সাংবাদিকের বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাপ শুরু হয়েছে।

এদিকে মঙ্গালবার বেলা ১২ থেকে ৩টা পর্যন্ত ঘুড়াকা ইউনিয়ন পরিষদে সমঝোতার বৈঠক করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ,রায়গঞ্জ উপজেলার আওয়ামীলীগের একাংশ- সলঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের একাংশ , স্থানীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনতা নিয়ে। সমঝোতার বৈঠক হলেও এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত সড়কটির মেরামতের কাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, তেলিজানা থেকে জয়েনপুর ও ঘুড়কা বাজার থেকে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ আঞ্চলিক সড়কটির কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে পরিনত হয়। মোট ১৫শ মিটার দুইটি সড়ক ৬৫ লক্ষ টাকার বরাদ্ধ হয়। এতে মেরামতের কাজ পায় পাবনার মেসার্স রশিদ ট্রেডার্স। স্থানীয় জনতার অভিযোগ নিষেধ করার পরও নিম্ন মানের মেরামতের কাজ চলছিল সড়কটিতে। জনতার নিষেধ উপেক্ষা করায় তারা উপ-সহকারি প্রকৌশলীকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং ঠিকাদারের রোলার মেশিনসহ সরাঞ্জামাদী আটকে রাখে। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা কর্মিরা জনতার রোশানল থেকে ওই প্রকৌশলীকে উদ্ধার করে।

পরের দিন সোমবার ভোরে ওই প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে আবারো নিম্ন মানের কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রশিদ ট্রেডার্স। এসময় এলাকাবাসী নিম্ন মানের কাজ বন্ধ করতে বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে আবারো নিম্ন মানের কাজ শুরু করলে স্থানীয় জনতার হামলার শিকার হন উপ-সহকারি প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম। পরে পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা আরো জানান, সড়কটি মুলত পাবনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছিল তাদের কাছ থেকে রায়গঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ্ আল পাঠান কাজটি কিনে নেয়। সে স্থানীয় হওয়ায় নিম্নমানের কাজ করে আসছিল। এলাকাবাসি এই নিম্ন মানের কাজ করতে নিষেধ করলেও সে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যাবহার করে কাজ করছে। এই জন্যই রাস্তার কার্পেটিং’র কাজ করার মানুষ পায়ে হেটে গেলে তার পায়ের সাথে উঠে যাচ্ছে তা হলে এই রাস্তায় যানবহন কি ভাবে চলাচল করবে!

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আব্দুল মমিন পাঠান বলেন, স্থানীয়দের সাথে সমঝোতা হয়েছে। তার এই রাস্তার কাজ যারা বন্ধ করে দিয়েছিল তার সবার মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। আমরা আবারও কাজ শুরু করে দিব।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল বাছেদেও সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোটি বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

(এমএসএম/এসপি/জুলাই ১১, ২০১৮)