জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : হালুয়াঘাটে সার্ভেয়ারের বিরুদ্বে অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে। গত ৯ জুলাই হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগী উপজেলার শাকুয়াই গ্রামের রুসমত আলীর পুত্র দুলাল মিয়া এবং অনুলিপি প্রদান করেন জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহ বরাবর।

অভিযোগে প্রকাশ, ময়মনসিংহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত ২২২ নং মোকাদ্দমা ভুক্ত জমির সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য হালুয়াঘাট সহকারী কমিশনারকে (ভুমি) আদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পরে সহকারী কমিশনার (ভুমি) সার্ভেয়ারকে তদন্ত ভার প্রদান করলে গত ৬ মে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপজেলা সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আমতৈল ইউনিয়ন ভুমি অফিসের পিয়ন কামালের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে ডেকে তদন্ত প্রতিবেদন অনুকুলে দেওয়ার আশ্বাসে ১৫ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেন পরে কামালের মাধ্যমে ১৪ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীত্বে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা দাবী পুরণ না করায় বিবাদীদের সাথে আতাত করে শাকুয়াই মৌজার মোকাদ্দমা ভুক্ত হাল দাগ নং ১৭১৪ ও ১৭৩২ সারে ১২ শতক জমির মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন পাশাপাশি তার প্রদানকৃত ১৪ হাজার টাকা ফেরত দেন।

উক্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের পর গত ১০ জুন তার দোকান ও বসতবাড়ী প্রতিপক্ষের ব্যক্তিগণ ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় ভাংচুরকারীদের নামে গত ১৪ জুন ময়মনসিংহ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরবর্তী ধার্য্য তারিখে বিবাদীগণ উক্ত মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে মামলাটি খারিজ করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। সার্ভেয়ারের বিরুদ্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সরেজমিন পূনতদন্তের দাবী জানায়।

এ বিষয়ে সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, তিনি কোন টাকা পয়সা নেন নি। অভিযোগ করেছে ভাল হয়েছে এখন পূনতদন্ত হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, তিনি অভিযোগটি পেয়েছেন পূনতদন্তের মাধ্যমে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

(জেসিজি/এসপি/জুলাই ১২, ২০১৮)