বাগেরহাট প্রতিনিধি : পূর্নিমার জোয়ারের অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ ও মংলা পৌরসভার নিম্নাঞ্চলসহ কমপক্ষে ৩০ টি গ্রামে পানি ঢুকে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। মোড়েলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের অধিকাংশ অফিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এ ছাড়া গ্রামের পানি বন্দী পরিবারের সদস্যদের পড়তে হচ্ছে নানান বিড়ম্বনায়। অনেকের কাঁচা ঘর-বাড়ী ধ্বংসে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। অন্যান্য জোয়ারের তুলনা এক থেকে দেড়ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ ও বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল এলাকার পরিবারগুলোর মধ্যে প্রতিনিয়ত দৈনিক দুইবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।

মোড়েলগঞ্জ উপজেলা অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, জোয়ারের পানিতে উপজেলা পরিষদ চত্বর তলিয়ে যায়। ফলে অফিসের কাজ-কর্মে বিড়ম্বনা পড়তে হচ্ছে। উপজেলা সদরের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় ব ̈বসায়ীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় শামীম আহম্মেদ জানান, পানগাছি নদীর তীরে পৌর এলাকায় বেড়ি বাঁধ না থাকায় পৌর এলাকায় হুহু করে পানি ঢুকে পড়েছে। এদিকে মংলা পোর্ট পৌরসভা এলাকার নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই দুটি পৌরসভার বাসিন্দাদের রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে শহর রক্ষা বাঁধের দাবি বাস্তবায়িত না হওয়ায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই তাদের পড়তে হয় নানান বিড়ম্বনায়। এসব এলাকার সকল শ্রেণিপেশার মানুষ ও গৃহপালিত পশু, প্রাণী ৫/৬ঘন্টার জন্য পানিবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়।

অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি পানি বন্দী গ্রাম ̧লোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মোড়েলগঞ্জের কুমারখালী, সন্ন্যাসী, খাউলিয়া, গাবতলা, কাঠালতলা, পাঠামারা, বদনীভাঙ্গা, সানকিভাঙ্গা, বড়বাদুরা, বারইখালী, শেধণীখালী, শোনাখালী, পঞ্চকরণ, ঘসিয়াখালী, বহরবুনিয়া, ফুলহাতা।

মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ এলাকার ফেরদৌস হোসেন মুন্সী জানান, কেওড়া নদীর দু’পারে প্রায় ১০ কিলোমিটার ধরে বেড়িবাঁধ না থাকায় এসব এলাকার গ্রামগুলোর মধ্যে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় সবচেয়ে নিম্ম আয়ের মানুষের নানান ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি এসব এলাকার বেড়িবাঁধের দাবি জানান।

(একে/জেএ/জুলাই ১৩, ২০১৪)