সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের সাকড়া গ্রামের ৭ বছরের এক শিশুকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই গ্রামের সেবক নামের এক যুবক। তার বয়স ১৯ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা অনুমান ১ টার দিকে সাকড়া বাজারের বাবুল মিয়ার ফার্নিচারের দোকানে। সেবক ওই গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। সে বাবুল মিয়ার দোকানে ফার্নিচারের কাজ করে। 

জানা যায়, বাবুল মিয়া সেবকের উপর দোকানের দায়িত্ব দিয়ে গাছ কিনতে তিনি এলাকায় চলে যায়। এ সুযোগে সেবক দোকানের অদূরে একটি বাড়ি থেকে বাজারে আসা শিশুটিকে ফুসলিয়ে বাবুল মিয়ার দোকানে এনে দোকানের দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। শিশুটির আর্তচিৎকারে পাশের বাড়ির এক নারী দৌড়ে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় সেবক ফার্নিচারের দোকান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই ওই শিশুটির বাবা থানায় আসতে চাইলেও স্থানীয় প্রাভাবশালী লোকজন আপোস মীমাংসার কথা বলে শিশুটির বাবাকে থানায় আসতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা ওসির নির্দেশে পুলিশের এস.আই আব্দুর রাজ্জাক সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এস.আই আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ওই শিশুটির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। থানায় আসবে কি আসবে না এখনও বুঝতে পারছিনা। গ্রামের লোকজন বিষয়টিকে মিমাংসার চেষ্টা করছে।

গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বাবলুর সঙ্গে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাকড়া গ্রামের একটি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্ট করা হয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছি। এর বেশি আর কিছু জানিনা।

ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা কামরুজ্জামান খান সোহাগের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিশুটির বয়স ৬/৭ বছর হবে। সে ওয়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণূীর ছাত্রী। তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে একথা আমিও শুনেছি।

এদিকে ধর্ষিতা শিশুটির বাবা প্রভাবশালীদের চাপের মুখে আছে জানতে পেরে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী কেন্দুয়া থানা পুলিশকে জরুরী ভাবে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানতে চাইলে পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি নিজে দেখছি। সত্য হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসবি/এসপি/জুলাই ১৩, ২০১৮)