সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের সাকড়া গ্রামের সেবক নামের এক যুবক একই গ্রামের ৭ বছরের এক শিশুকে টাকার লোভ দেখিয়ে ফুসলিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। দিনভর ঘটনাটি মিমাংসার নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার পর অবশেষে শুক্রবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) খ ধারা মোতাবেক কেন্দুয়া থানায় সেবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত এই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একই গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে সেবকের (১৯) বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

শুক্রবার বেলা অনুমান ১ টার দিকে সাকড়া বাজারের বাবুল মিয়ার ফার্নিচারের দোকানে ৭ বছরের এই শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যায় সেবক। পরে তাকে টাকার লোভ দেখিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ফুসলিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটির চিৎকারে দোকানের পাশের বাড়ির এক নারী দৌড়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় সেবক দৌড়ে পালিয়ে যায়।

মামলার বাদী জানান, ঘটনাটি জানাজানি হলে বিভিন্ন লোকজন শিশুটিকে নিয়ে নানা কথা বলে বিভ্রান্ত করছিল। তারা মিমাংসার কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে থানা পুলিশের কাছে আসতে দিচ্ছিল না। দিনভর ধামাচাপা নাটকের পর সন্ধ্যার দিকে কেন্দুয়া থানা থেকে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ গিয়েও ওই শিশুটি ও শিশুর বাবাকে নিয়ে থানায় আসতে বিভিন্ন বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছিল। রাত ১০ টার দিকে ঘটনাটি গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে অবগত হন নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী। তিনি সঙ্গে সঙ্গে কেন্দুয়া থানার ওসিকে ৭ বছরের এই শিশুকে উদ্ধারের পর ঘটনা সত্য হলে থানায় জরুরী ভাবে মামলা নিতে নির্দেশ দেন। পরে কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই আব্দুর রাজ্জাক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাকড়া গ্রাম থেকে ঘটনার ১০ ঘন্টা পর শিশু তার বাবাকে উদ্ধার রাত ১১টার দিকে কেন্দুয়া থানায় নিয়ে আসেন।

এ ব্যপারে কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই আব্দুর রাজ্জাক জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) খ ধারা মোতাবেক যুবক সেবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় নেত্রকোনা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারের পর ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আসামী গ্রেফতারের দ্রুত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

(এসবি/এসপি/জুলাই ১৪, ২০১৮)