মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারে সরকারি খাস ভূমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষের ২ জন নিহত হয়েছেন ।

নিহতরা হলেন পূর্ব লামুয়া গ্রামের ওয়ারিছ মিয়ার ছেলে আব্দুল মালিক (৫০) ও কম্মদপুর গ্রামের মুরাদ মিয়ার ছেলে শফিকুর রহমান (২০)। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের আরো অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৮ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কম্মদপুর গ্রামের বড়হাওরে ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় বর্তমানে দু গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক তাজুদ আহমদ জানান, এঘটনায় পুলিশ এপর্যন্ত অন্তত ৫জনকে আটক করেছে। তিনি জানান, কম্মদপুর গ্রামের তোতা মিয়া ও পূর্ব লামুয়া গ্রামের ফকির বাড়ির পক্ষের মধ্যে সরকারি খাস ভুমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে এই দু-পক্ষের লেবাস মিয়া ও মনর মিয়ার মধ্যে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আব্দুল মালিক মিয়ার বুকে লাঠির আঘাতে এবং শফিকুর রহমানের বুকে চাকুর আঘাতে ঘটনাস্থলে তারা ২জনই নিহত হন।

আহতরা হলেন, আউয়াল মিয়া (৩৪), রুমান মিয়া (২৭), রায়হান (২৫), সুফি মিয়া (৬০), মহরুপ রহমান (৩০), রাজীব আহমদ (৩৩), আহতাব হোসেন (১৭), রেজিয়া (২৮), জমসেদ মিয়া (৫৫), ফখরুল ইসলাম (৪৬), ইমন মিয়া (৩০), তাহের মিয়া (৩৩), জয়নাল মিয়া (৪০), মো. সুয়েব (২৪), রুনা বেগম (১৭), হুছনা বেগম (৪০), ইকরা মিয়া (৪০), সেলিম মিয়া (২৭), রুহেনা বেগম (২৮), হালিমা বেগম (২৩), মিনহাজ মিয়া (৩৩), মহসীন মিয়া (২৮), উমেদ মিয়া (২৩), সুহেল মিয়া (৩৫), লিয়াকত মিয়া (৩০), মিনারা (৬০), মধুমালা (৬৭)সহ আরো কয়েকজন আহত হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, বর্তমানে সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে ৬০-৭০ জন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রনে আছে।

(একে/এসপি/জুলাই ১৪, ২০১৮)