তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : আকাশে উড়তে উড়তে রানওয়েতে এসে অবতরণ করতেই বিশাল উড়োজাহাজ ওপরে চাপানো কোটের মতোই তার ডানা খুলে ট্রেন হয়ে যাবে। তারপর সেটি রেললাইনের ওপর দিয়ে যাত্রীদের পৌঁছে দেবে বিভিন্ন স্টেশনে।

কথাটি শুনলে মনে হয় যেন কোনো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী কিংবা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক গোয়েন্দা কাহিনীর অংশ।

কিন্তু একে বাস্তবে রূপ দেয়ার পরিকল্পনা করছে আক্কা টেকনোলজিস। বিশ্বখ্যাত প্রকৌশলীদের সঙ্গে বড় বড় সব নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের যোগসূত্র স্থাপন করে কোটি কোটি ডলার কামানো এই ফরাসি উদ্যোক্তা কোম্পানি বোয়িং কো.সহ অন্যান্য উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের নতুন পরিকল্পনায় রাজি করানোর চেষ্টা করছে।

নতুন এই ফ্ল্যাগশিপ এয়ারক্রাফট ডিজাইনকে তারা নাম দিয়েছে ‘লিংক অ্যান্ড ফ্লাই’।

আক্কার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মরিস রিচি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইতোমধ্যে গাড়ি বৈদ্যুতিক ও স্ব-চালিত রূপ পেয়েছে। এখন পরবর্তী বড় পরিবর্তন আসবে উড়োজাহাজে।

বোয়িং আক্কার প্রধান গ্রাহকদের একটি। তাই বোয়িংকে নিজেদের লিংক অ্যান্ড ফ্রাই নকশায় রাজি করানোর চেষ্টায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।

আক্কার এই ফিউচারিস্টিক নকশা অনুযায়ী, যাত্রীরা তাদের কাছাকাছি স্টেশন থেকে টিউব আকৃতির ট্রেনে চড়বে। বিমানবন্দরগামী সেই ট্রেনে চড়ার আগে নিরাপত্তার স্বার্থে সব আরোহীর রেটিনা স্ক্যান করা হবে।

বিমানবন্দরে রানওয়েতে পৌঁছানোর পর সেই ট্রেনের ওপর ডানা সংযুক্ত করা হবে। আর সেই ডানা বসানোর পরই ট্রেনটি প্লেন হয়ে সেখান থেকে উড়ে যেতে পারবে।

আক্কা টেকনোলজি তাদের ডিজাইনটি বোঝানোর জন্য একটি ত্রিমাত্রিক ছবির ভিডিও তৈরি করেছে। সেই ভিডিও দেখে কয়েকটি এশীয় কোম্পানি এ ধরনের প্লেন-কাম-ট্রেন তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন রিচি। তবে সেসব কোম্পানির নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

তবে কোনো একটি কোম্পানিকেই যে পুরো ‘লিংক অ্যান্ড ফ্লাই’ যানটি তৈরি করতে হবে, এমনটা বলছে না আক্কা। আপাতত ভিডিওর মাধ্যমে ধারণাটির প্রতি সবার মনোযোগ আকর্ষণই এর মূল উদ্দেশ্য।

সম্ভাব্য নির্মাণ ও বিনিয়োগকারীরা ডিজাইন দেখে আগ্রহ দেখালে একেক কোম্পানি একেক অংশ তৈরি করতে পারবে। এতে তুলনামূলক দ্রুত এ ধরনের উড়োজাহাজ যাত্রী পরিবহনের জন্য মাঠে নামানো সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৪, ২০১৮)