সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপায় আ: সালাম খানের ছেলে গিয়াস উদ্দিন খান (৩৫) ও মজিদ আকনের ছেলে মন্নান আকন (৪০) এর উপর হামলা করায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

হামলাকারীরা হলেন- চুন্নু সিকদার, মাইনুল সিকদার, রেজাউল সিকদার, মনিরনুল হাং, মজিদ হাং, মিজান হাং, মনির সিকদার, মুকুল সিকদার, বশির সিকদার, জহির সিকদার, রাজ্জাক হাং, সুজন সিকদার, তরিকুল সিকদার, কামাল মিয়া সহ আরও নাম না জানা অনেকে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা আনুমানিক ১ টার সময় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ফরম নিয়া ঝামেলা হলে বাদীসহ ১ ও ৩ নং স্বাক্ষী গলাচিপা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। যার নং- ১৯৭/১৮।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্থগিত করে দেয়। বিষয়টি মাননীয় সংসদ সদস্য আখম জাহাঙ্গীর সাহেবকে অবগত করেন। কলাগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এর প্রস্তুতি সভায় সকল অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির মিটিং শেষে কলাগাছিয়া বাজারে মসজিদের সামনে নামাজ পড়ার জন্য একত্রিতভাবে উপস্থিত হইলে সকল আসামিগণ পূর্ব মামলার জের ধরে লাঠিশোঠা নিয়ে গিয়াস উদ্দিন খানকে মারধর করে।

গিয়াস উদ্দিন হাওলাদারের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পড়লে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। পড়ে এলাকাবাসী গিয়াস উদ্দিন খানকে উদ্ধার করে গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্মরত ডা: মোস্তফা সিকদার বলেন, দুজনেই আমার চিকিৎসাধীনে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ২ ও ৩ নং বেডে আছে।

এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন খান প্রতিবেদককে জানান, আমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের চেইন, আমার পকেটে থাকা টাকা আসামীরা নিয়ে যায় এবং আমাকে এলোপাথারি ভাবে মারধর করে। এলাকার মানুষজন না আসলে আমাকে ওরা মেরে ফেলত।

এ ব্যাপারে মন্নান আকন জানান, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিকে কেন্দ্র করে এ মারামারি। পূর্বে এদের বিরুদ্ধে ম্মালা হওয়ায় আমাদেরকে এলোপাথারিভাবে মেরেছে।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। গলাচিপা থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এসডি/এসপি/জুলাই ১৪, ২০১৮)