স্টাফ রিপোর্টার : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ারের শেয়ার কিনতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। যে সব বিনিয়োগকারীর কাছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার আছে তাদের কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে ডরিন পাওয়ার।

রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ডরিন পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ১০৬ টাকা ৪০ পয়সা দরে। এর থেকে ৭ টাকা ২০ পয়সা বাড়িয়ে ১১৩ টাকা ৬০ পয়সা দরে প্রথমে ১ হাজার শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পড়ে। তবে কেউ এই দামে শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি।

এরপর ১১৪ টাকায় ২ হাজার শেয়ার ক্রয়ের আবেদন আসে। এ দামেও কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা দামে ৪৮ হাজার ৩৭৪টি শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পড়ে। এই দামেও কোনো বিনিয়োগকারী তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলে ডরিন পাওয়ারের শেয়ার বিক্রেতা শূন্যই থেকে গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুলাই মাসের শুরু থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ছে। ৩ জুলাই ডরিন পাওয়ারের শেয়ারের দাম ছিল ৯৮ টাকা ৭০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ১২ জুলাই লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ১০৬ টাকা ১০ পয়সায়। সেখান থেকে রোববার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ বেড়ে হল্টেড হয়েছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭২ দশমিক ৬৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, আর ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।

২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ারের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর গত দুই বছরেই কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৫, ২০১৮)