লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় শতদল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু‘জন শিশু শিক্ষার্থীকে পাচারের অভিযোগে এলাকাবাসী একজন পাচারকারীকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাচারকারীকে রোববার জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইতনা ইউপির উত্তর লংকারচর গ্রামের সিরাজ মুন্সীর মেয়ে আমেনা খানম(১২) ও সাকায়েত শেখের মেয়ে রানী খানম(১৩)কে ভাল চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের এনায়েত শেখের ছেলে সাদ্দাম শেখ গত ৭ জুলাই তাদের ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিয়ে যায়।

পাচারের শিকার ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ও এলাকাবাসী তাদের খোঁজ-খবর না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। প্রায় এক সপ্তাহ পর গোপন সংবাদ পেয়ে পাচার হওয়া শিক্ষার্থী আমেনার বড় ভাই শফিকুল মুন্সী ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাজলী এলাকা থেকে শিশু পাচারকারী সাদ্দামকে কৌশলে ধরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে।

পরে পাচারকারী সাদ্দামের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গত শুক্রবার (১৩ জুলাই) পাচারের শিকার আমেনা খানম(১২) ও রানী খানম(১৩) ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর গ্রামবাসী গত শনিবার অভিযুক্ত সাদ্দামকে নিয়ে শালিস-বৈঠকের আয়োজন করলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

খবর পেয়ে শনিবার রাতে লোহাগড়া থানা পুলিশ সাদ্দাম শেখ(২৮)কে গ্রাম থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী আমেনার ভাই শফিকুল মুন্সী বাদী হয়ে গত রবিবার সাদ্দামকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। লোহাগড়া অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আটক পাচারকারীকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

(আরএম/এসপি/জুলাই ১৫, ২০১৮)