সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের মালতিনগরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যায়ে  ড্রেন নির্মান হচ্ছে। ড্রেন নির্মানের কাজটি পায় জেলার কাজিপুরের মেসার্স সাজেদা আতাহার এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু মেসার্স সাজেদা আতাহার এন্টারপ্রাইজ কাজটি না করে সিরাজগঞ্জের মাহমুদুল হাসান মিদুলের কাছে কাজটি বিক্রি করে দেয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি দেখাশোনা করছে সোনাখাড়া ইউনিয়নের  শ্রীরামপুর গ্রামের সেরাজুল ইসলাম তোতা নামের এক ব্যাক্তি। তোতা মিয়া স্থানীয় লোক হওয়ার কারনে প্রভাব দেখিয়ে নিম্ন মানের মালামাল দিয়ে কাজ করে আসছে।  রায়গঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিনের উপর কাজটি দেখবালের দ্বায়িত্ব থাকলেও ড্রেন নির্মাণে ঢালাইয়ের সময় তিনি অনুপস্থিত থেকেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার সোনাখাড়া ও ধুবিল ইউনিয়নের প্রায় ১০টি মৌজার আবাদি জমি জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা করতে মালতিনগর মুচি বাড়ির ব্রিজের পাশে^ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) (২০১৭-১৮) অর্থবছরে আওতায় ৫০ মিটার ড্রেন নির্মান চলছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ড্রেন নির্মানের ইট, খোয়া, বালি ও সিমেন্টসহ সকল কিছুই নি¤œমানের। এছাড়া ড্রেনটি সংকোচিত করা হয়েছে। ড্রেন নির্মানে সিডিউলের অর্ধেক রডও ব্যবহার করা হয়নি। স্থানীয়রা ড্রেনটি আরো আধাফুট নিচু করার দাবি করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা তা আমলে নেননি। যার কারনে ৩লাখ টাকা ব্যায়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে যে ড্রেনটি নির্মান করা হচ্ছে সেই ড্রেনের কারনেই জলাবদ্ধতা বৃদ্বি পাবে বলে সচেতন মহল ধারণা করছে।

নির্মান কাজের মিস্ত্রী মুকুল হোসেন জানান, আমাদের হাতে কোন নকসা দেওয়া হয়নি। ঠিকাদার যে ভাবে বলেছে আমরা সেই ভাবেই কাজ করছি।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সেরাজুল ইসলাম তোতা বলেন, কাজটি পেয়েছে মুলত মেসার্স সাজেদা আতাহার এন্টারপ্রাইজ কিন্তু তারা কাজটি বিক্রি করে দেয় সিরাজগঞ্জের মাহমুদুল হাসান মিদুলের কাছে। সে ভাবে কাজ করতে বলেছে আমরা সেই ভাবেই কাজটি করছি।

এ বিষয়ে ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান ইমাম তালুকদার সোহন বলেন, ড্রেনটি বর্তমান অবস্থা থেকে পাচঁ ইঞ্চি নিচু করতে বলেছিলাম। কিন্তু তা করা হয়নি।

রায়গঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ড্রেন নির্মানের সময় ২ দিন উপস্থিত না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান , মেম্বর এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের কাজ বুঝে নেওয়ার কথা বলেছিলাম।

(এমএসএম/এসপি/জুলাই ১৫, ২০১৮)