সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : প্রকৃতির জোয়ার ভাটার সাথে এখনো তাল মিলিয়ে চলতে হয় গলাচিপা পৌরসভার বাসিন্দাদের। গলাচিপা পৌরসভার বেড়িবাধের বাহিরে অবস্থিত বাসিন্দাদের জোয়ারের সময় ঘরগুলো তলিয়ে যায়। পূর্ণিমার জোর পানিতে প্রায় হাজার খানেক ঘর পানিতে তলিয়ে থাকে। এর কারণে বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এমনকি দুপুরে অনেকের ঘরে চুলার আগুন জ্বালাতে দেখা যায়নি। যার ফলে লোকজনদের না খেয়ে দিন অতিবাহিত করতে হয়।

সূত্র জানায়, গলাচিপার রামনাবাদ নদীর কোল ঘেষে গলাচিপা পৌরসভাটি অবস্থিত। ১৯৯৭সালের পহেলা জানুয়ারী পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর পর থেকে ধীরে ধীরে পৌরসভার উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও বাড়িবাধের বাহিরের লোকজনের আশানুরুপ ছোয়া লাগেনি বলে এলকাবাসীর অভিযোগ।

এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন জানান, রবিবার পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলো একশত ব্যারাক, চল্লিশ ব্যারাক,এক শত ত্রিশ ব্যারাক, কলাবাগান। এ এলাকায় ৬-৭হাজার লোকের বসবাস। অধিকাংশ এলাকার ঘর গুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এসব এলাকায় জোয়ারের পানি নেমে গেলে আরও দুর্ভোগ বেড়ে যায়।রাস্তাগুলো দিয়ে চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়ে।

কলাবাগান এলাকার খোরশেদ আলমের স্ত্রী আখি জানান, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে দুপুরে তার পরিবারে চুলায় আগুন জ্বালাতে পারেনি ও রান্না হয়নি।

একশত চল্লিশ ব্যারাকের আবুল কালামের স্ত্রী নূর জাহান (৩৫) জানান, এক ছেলে দুই মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন অতিবাহিত করিছ। জোয়ারে ভিজি আর ভাটায় শুকাই। অধিকাংশ ঘর গুলো গাছের সাথে রশি দিয়ে লটকানো দেখা গেছে এবং অনেকে ঘরের চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েছে। গলাচিপা পৌরসভার বেড়ী বাধের বাহিরে তিনটি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা পূর্ণিমার জোর কারনে বেশী পানি হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গলাচিপা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সোহাগ জানান, জোয়ারের পানিতে এলাকার ঘর গুলো তলিয়ে থাকে। এ কারনে এখানকার লোকেদের নানা কষ্টে চলতে হয়। নোংরা পানির কারণে শিশু বৃদ্ধসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

গলাচিপা পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক তুহিন খলিফা জানান, তবে জনসাধারণসহ ঘর বাড়ী রক্ষা করার জন্য বেড়িবাধ বিশেষ প্রয়োজন এবং তার প্রেচেষ্টাও চলছে।

(এসডি/এসপি/জুলাই ১৫, ২০১৮)