মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুরা ইউনিয়নের নোয়ারাই গ্রামে বসত ঘরে ঢুকে সন্ত্রসী হামলার অভিযোগে একই গ্রামের চল্লিশজনকে আসামী করে ও আরো ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার (১৪ জুলাই) নোয়ারাই গ্রামের সৈয়দ বাড়ির সৈয়দ আবির আলীর স্ত্রী মোছা: রাছিনা বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ১৩ (জিআর ১৩/১৯৩)।

মামলার আসামীরা হলেন , সদর উপজেলার ৫নং আখাইলকুরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়র্ডের নোয়ারাই গ্রামের ১। ছয়ফুল (৩৮) পিতা মৃত সোনাওয়ার মিয়া, ২। শাহিনুর (৩০) পিতা মৃত সোনাওয়ার মিয়া, ৩। সুফিয়ান (৩৫) পিতা মাসুক মিয়া, ৪। জগলু মিয়া (৩০) পিতা মৃত এলাইচ মিয়া, ৫। সাবাজপুর গ্রামের কুতুব মিয়া (৫০) , ৬। তাজুল মিয়া ( ২৮) পিতা মৃত বাদশা মিয়া, ৭। সুহেল মিয়া (৪০) , ৮। সুহেব মিয়া (২৮) পিতা আতাউর রহমান, ৯। রুমেল তরফদার (৪৫) , ১০। নুরুল তরফদার (৪৮) পিতা মৃত: মতলিব মিয়া তরফদার, ১১। কয়েছ মিয়া (৩২) , ১২। পারভেজ মিয়া (২৫) পিতা মৃত: তবারক মিয়া, ১৩। ফেরদৌস মিয়া (২২) পিতা মৃত: তবারক মিয়া, ১৪। মগনু মিয়া (৫৫) পিতা আতাউর রহমান, ১৫। মাসুক মিয়া (৫০) পিতা মৃত: মতলিব মিয়া, ১৬। জুয়েল মিয়া (৩৫) পিতা আতাউর রহমান, ১৭। আতাউর রহমান (৬০) পিতা অজ্ঞাত, ১৮। সুন্দর মিয়া (৪৭), ১৯। ফারুক মিয়া (৫০) পিতা মৃত বারিক মিয়া, ২০। শিপন মিয়া (৩৫) , ২১। জুনেদ মিয়া (৩০) পিতা মগনু মিয়া, ২২। বশর মিয়া (৪৫) পিতা চেরাগ মিয়া, ২৩। জহির মিয়া (৩০) ২৪। শওকত মিয়া (৩৪) পিতা জলাল মিয়া, ২৫। জলাল মিয়া (৬০) পিতা মৃত: মবশ্বির মিয়া, ২৬। রকিব আলী (৪৭) পিতা মৃত হুছন আলী, ২৭। রশিদ মিয়া (৩৫) পিতা মৃত: কালা মিয়া, ২৮। বিপ্লব বিহারী (২৬) পিতা মৃত: রজবিহারী, ২৯। আলাউদ্দীন (৪০) পিতা অজ্ঞাত, ৩০। মন্নান (৪০) পিতা মৃত: বারু মিয়া, ৩১। আকবর মিয়া (৫০) পিতা অজ্ঞাত, ৩২। আছাব মিয়া (৬০) , ৩৩। মলাই মিয়া পিতা মৃত: কদর মিয়া, ৩৪। মিছবাহ (৩৬) পিতা আছাব মিয়া, ৩৫। ছমির মিয়া (২৫) পিতা মৃত: কনর মিয়া, ৩৬। আনোয়ারা বেগম (৪৫) স্বামী মাসুক মিয়া, ৩৭। হেনা বেগম (৪২) স্বামী মৃত: তবারক মিয়া, ৩৮। বাছিদ তরফদার (৬০) পিতা মৃত ময়না মিয়া, ৩৯। আরফান মিয়া (৩২) পিতা মৃত: আব্দুল খালিক, ৪০। আনর মিয়া (২৬) পিতা মো: আলী সাং ইনাতগঞ্জ থানা নবীগঞ্জ ,হবিগঞ্জ সহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে মৌলভীবাজার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাপস চন্দ্র রায় জানান, এই মামলার এজাহার নামীয় আসামী আকবর মিয়াকে রবিবার বিকালের দিকে নোয়ারাই গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় । তিনি বলেন, এর পূর্বে ঘটনার সময় আটক ১৩জনকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হলে পরবর্তিতে তাদেরকে এই মামলায় অভিযুক্ত থাকার কারনে শোন এ্যারেষ্ট দেখানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এঘটনায় অন্যান্য আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এর পুর্বে গত শুক্রবার (১৩ জুলাই) পূর্ব সত্র“তার জেরে বসত ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসী কায়দায় রামদা, দা সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি হামলা চালিয়ে একই পরিবারের চার সহোদরকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে অভিযুক্তরা । হামলায় মহিলা সহ আহত হয়েছেন একই পরিবারের অন্তত পাঁচজন। গুরুতর আহতরা হলেন, সৈয়দ রাসেল আলী (৩২) সৈয়দ জমসেদ আলি (৩০) সৈয়দ মুর্শেদ আলী(২৯) সৈয়দ মুবেদ আলী (২২) পিতা মৃত ফজর আলী। এঘটনায় গুরুত্বর আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষনিক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়াও এঘটনায় আহত হয়েছেন, সৈয়দ আবির আলীর মা ফুলমতি বেগম (৭৫) ও স্ত্রী রাশেনা বেগম।

ঘটনার দিন খবর পেয়ে ঐদিন দুপুরের দিকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল।

সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার নোয়ারাই গ্রামের সৈয়দ বাড়ীর সৈয়দ আবির আলী জুমার নামাজের পুর্বে বাড়ির রাস্তায় কাজ করছিলেন, এমন সময় একই গ্রামের তাজুল ইসলাম, ছয়ফুল, সুফিয়ান, মাসুক মিয়া, কয়েছ, পারভেজ, ফেরদৌস ও শাহিনুরের নেতৃত্বে প্রায় ৩০-৪০ জনের একটি দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার গতিরোধ কওে কাজ বন্ধের হুমকি দেয়। হুমকি পেয়ে আবির আলী আতœরক্ষার জন্য ঘরের উদ্যেশে দৌড় দিয়ে নিজ বসত ঘরে প্রবেশ করেন। এসময় তাদের সাথে থাকা একটি সাদা রঙের কার থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার উদ্যেশে আবির আলীর বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে দা, রামদা সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলাপাতারি হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে পরিবারের পাঁচজন সদস্যকে ।

(একে/এসপি/জুলাই ১৬, ২০১৮)