স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাকরাইলে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আব্দুল করিমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশ।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন।

অন্য দুই আসামি হলেন- আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।

তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত হয়নি বলে চার্জশিটের বিরুদ্ধে না রাজি দাখিল করেন মামলার বাদী নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী। বাদীর দাবি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও অজ্ঞাত অনেকে জড়িত। যা তদন্তে উঠে আসেনি। আদালত ৬ আগস্ট নারাজীর বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।

গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/এ বাড়িতে মা শামসুন্নাহার (৪৫) ও ছেলে শাওনকে (ও লেভেল শিক্ষার্থী) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতের স্বামী আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী। তিনি আদা-রসুন-পেঁয়াজের আমদানিকারক।

ওই ঘটনায় ২ নভেম্বর নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদি হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় নিহতের স্বামী আব্দুল করিম, তার তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, শ্যালক (মুক্তার ভাই) জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর আটক নিহতের স্বামী আব্দুল করিম ও তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৬, ২০১৮)