বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট-রূপসা পুরাতন সড়কের বাগেরহাট সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের মুচিঘাট এলাকায় ভৈরব নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। ভাঙ্গনের সড়কটির অর্ধেকেও বেশি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি অংশে মারত্মক ফাটল দেখা দিয়েছে। আবার জোয়ারের সময় সড়ক উপচে হু-হু করে পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। উপচে পড়া পানির তীব্রতায় স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, মানুষজন হাটতেও পারছেন। 

রবিবার দুপুরে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে উম্মে হাবিবা (১১) নামে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রী মারত্মক আহত হয়েছে। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাৎক্ষনিক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জোয়ারের উপচে পড়া পানিতে যাত্রাপুর ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের ফসলের ক্ষেত, মৎস্য খামার, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে পড়েছে। একদিকে নদী ভাঙ্গন অপরদিকে অস্বাভাবিক জোয়ারের উপচেপড়া পানিতে গ্রামবাসী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লেিগর সাধারন সম্পাদক এমএ মতিন বলেন, ভাঙ্গনের ভয়াবহতা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। সড়ক ও জনপদ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অর্ধেকেও বেশী নদীতে চলে গেছে। আবার সড়কটি উচু কওে নির্মান না করায় জোয়ারের সময় উপচে পড়া পানিতে যাত্রাপুর ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। নদী ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বারবার দায়সারা কাজের কারনে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। তিনি দ্রুত টেকসই বাঁধসহ সড়কটি উচু করে নির্মানের দাবী জানান।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসরাম বলেন, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। নদী ভাঙ্গ রেধে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই পাইলিং এর কাজ করা হবে। যেহেতু সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের তাই সড়ক সংস্কারের কাজ সড়ক বিভাগই করবে।

বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, নদী ভাঙ্গনে সড়কটি ধসে নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। জোয়ারের পানি উপচে সড়কসহ জনপদেও সাধারন মানুষ নানা ক্ষতি মুখে পড়ছে। তবে পাউবো নদী শাসনের কাজ শেষ করলে সড়কটি উচু কওে নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে সওজ’র পক্ষ থেকে সড়কটি সচল রাখতে ও ঝুঁকি এড়াতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

(এসএকে/এসপি/জুলাই ১৬, ২০১৮)