গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম মন্ডলের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা মোছা. জুই বেগম, মোছা. শাহানাজ পারভীন, মোছা. আলেফা বেগম এবং ওয়ার্ড সদস্য মো. আলতাব হোসেন, কে. এম জিয়াউর রহমান জিন্না, মো. জিয়াউর রহমান, মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. মশিউর রহমান, মো. আমজাদ আলী শেখ ও মো. নুরুল ইসলাম গত ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শাহ আলম মন্ডল পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম-দুর্নীতে জড়িয়ে পরে। ওই ইউনিয়ন পরিষদের দুটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। কিন্তু ইউনিয়নের হোল্ডিং ট্যাক্স, জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স ফি, হাট বাজার ইজারার টাকা আদায় করে ওই ব্যাংকের হিসাবে জমা রাখা হয়নি। এসব খাতের আয়-ব্যয়ের হিসাব পরিষদটির মাসিক সভায় উপস্থাপন করা হয় না। বর্তমান চেয়ারম্যান পরিষদের টাকা উত্তোলন করে পকেটস্থ করছেন।

গত বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট মেরামতের জন্য উপজেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ কর্মকর্তা ১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা পরিষদকে বরাদ্দ দিলে কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু ইউনিয়নের সকল বরাদ্দসহ পরিষদের আনুসংঙ্গিক কর্মকান্ড ইউপি সদস্যদের অবহিত না করেই করা হয়। তার সময় ক্ষেপনের কারণে পরিষদের চল্লিশ দিনের কর্মসূচির বরাদ্দকৃত ৮ দিনের টাকা, ১০টাকা মূল্যের চাল ফেরৎ ফেরত চলে যায়।
এছাড়াও তিনি পবনাপুর মহিলা কলেজের নামে ভুয়া অনুদানে অর্থ আত্মসাত করে, বিগত দুই বছর যাবৎ সদস্যদের পরিষদের থেকে সম্মানী ভাতা দেয়া হয় না, দফাদার নিয়োগের রেজুলেশন না করা দুস্ত মাতার চালের বস্তা কেটে চাল কম দেওয়া হাতে নাতে প্রমান পাওয়া, পরিষদের জন্য সরকারী অর্থ স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে উত্তোলন ও খরচ, জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন দিবস যথাযথ ভাবে পালন না করা, ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে জামাত ও বিএনপিকে অর্থ যোগান দেন প্রতিনিয়িত। তিনি নিয়মিত পরিষদে উপস্থিত থাকতেন না। ইউনিয়ন পরিষদের বাকি সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে সকল কাজ করেন।

ইউনিয়নের সদস্য মো. মশিউর রহমান রাজা বলেন, গত বছরের ৩ অক্টোবর ভিজিডির ৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব চাল ২২০ জন কার্ডধারীর মাঝে বিতরণের জন্য ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা থাকলেও প্রত্যেকজনকে তিন-চার কেজি করে চাল কম দেয়। পরে ঘটনাটি প্রশাসনের নজরে আসলে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করেন। পরে চেয়ারম্যান ঘটনার সতত্যা স্বীকার করে ভুল স্বীকার করেন।

ইউনিয়নের সদস্য কে.এম জিয়াউর রহমান জিন্না বলেন, অভিযোগের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। ফলে ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজ ব্যহত হচ্ছে।
এবিষয়ে পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়াম্যান শাহ আলম মন্ডল সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

(এসআইআর/এসপি/জুলাই ১৭, ২০১৮)