নিউইয়র্ক : ফ্লোরিডায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন ফ্লোরিডা যুগ লীগের সহ সভাপতি এবং কম্যুনিটি লিডার আইয়ুব আলী (৫০)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়েসহ আত্মীয়- স্বজন রেখে গেছেন। ফ্লোরিডা থেকে আতিকুর রহমান এনাকে জানান, অন্যান্য দিনের মত আইয়ুব আলী ফোর্টলারডেলে নিজের কনভেনিয়েন্স স্টোরে কাজ করতে গিয়েছিলেন। 

সেখানে কর্মরত অবস্থায় গত ১৭ জুলাই (ফ্লোরিডা সময়) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। কে বা কারা পুলিশ কল করলে সাথে সাথে পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তাররা পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। জানা গেছে, মারাত্মক আহত আইয়ুব আলীকে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু ঘটে।

আইয়ুব আলী প্রায় ১৫ বছর ধরে ফোর্টলারডেলে কোরাল স্পিং এ বসবাস করে আসছিলেন। তার ২ ছেলে এবং ২ মেয়ে লেখাপড়া করছে। আইয়ুব আলীর এই অকাল মৃত্যুতে ফ্লোরিডা বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকের মধ্যেই ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা খুনির শাস্তি দাবি করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইয়ুব আলীর লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এখনো তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়ছে একজন কৃষাজ্ঞ দুর্র্বৃত্ত তার মাথায় গুলি করেছে। পুলিশ এখনো তাকে গ্রেফতার বা করতে পারেনি।

জানা গেছে, নিহত আইয়ুব আলীর দেশের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নানুপুর গ্রামে। হাসপাতাল থেকে লাশ পাওয়ার পর আইয়ুব আলীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এখনো লাশ কোথায় দাফন করা হবে সে ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

আতিকুর রহমান আরো জানান, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ফ্লোরিডাতে এই ধরনের ঘটনা বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন বাংলাদেশীকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। আজ পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যে কারণে কারো শাস্তি হয়নি। তিনি আরো বলেন, ইদানিং ক্রেতারা কথায় কথায় বলে থাকে- ’গো ব্যাক টু ইউর কান্ট্রি।’ অনেকেই তার প্রতিবাদ করেন না গুলি করে দেয়ার ভয়ে।

(এ/এসপি/জুলাই ১৮, ২০১৮)