সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রকাশ্য দিনে দুপুরে সিরাজগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মালেক হত্যাকান্ডের ১০ মাস পার হলেও এখনো মামলাটির চার্জশীট ফাইল করা হয়নি। এ নিয়ে নিহতের পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন করে আসছেও বলেও অভিযোগ বাদী এবং তার পরিবারের। 

বুধবার সকালে নিহত মালেকের বাবা শহরের দত্তবাড়ি মহল্লার ছানোয়ার হোসেন ও মা ছালমা খাতুন এসব অভিযোগ করে বলেন, প্রকাশ্য দুপুরে শত শত মানুষের সামনে আমাদের সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ১০ মাস পার হলেও চার্জশীট জমা হয়নি। আমার সন্তান হত্যার সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে আমরা সংশয়ে রয়েছি। আমাদের বড় ছেলে বাদী আবু মুসাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা সন্তান হারিয়েছি-ওর ২ বছরের শিশু সন্তান তার বাবাকে হারিয়েছে। হত্যাকারিদের শাস্তির মাধ্যমেই আমরা শান্তনা পাবো।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে শহরের ২নং খলিপাপট্টি এলাকায় রড দিয়ে উপুর্যপুরি মাথায় আঘাত করে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মালেককে হত্যা করে প্রতিপক্ষ নজরুল ও তার সহযোগীরা।

মামলার বাদী মো.আবু মুসা বলেন, মাত্র দেড় মাস জেলহাজতে থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে এ হত্যাকান্ডের মুল হোতা শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে মাদক, জুয়া ও সুদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করায় নানাভাবে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। তিনি বলেন, এর আগে অনেক হত্যাকান্ডের মামলায় চার্জশীট দেয়া হয়েছে। কিন্তু এত সময় তো লাগেনি। তবে ১০ মাসেও এই মামলার চার্জশীট দেয়া হয়নি। তিনি দ্রুত চার্জশীট জমা দিয়ে মামলাটির বিচারকি কার্যক্রম শুরুর দাবী জানান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আনিসুর রহমান বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল। মামলাটির তদন্ত শেষ হয়ে চার্জশীটও প্রস্তুত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশীট জমা দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৯ শে অক্টোবর জানপুর মহল্লার নজরুলের সাথে নিহত মালেকের বড় ভাই যুবলীগ নেতা আবু মুসার বাকবিত-া হয়। নজরুল ও তার সমর্থকরা মুছার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ সময় ছাত্রলীগ নেতা মালেক দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে ২নং খলিফাপট্টি এলাকায় তারে উপর হামলা চালিয়ে রড দিয়ে মাথায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন নিহত মালেকের বড় ভাই আবু মুসা বাদি হয়ে ৭জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

(এমএসএম/এসপি/জুলাই ১৮, ২০১৮)