সৎ মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা, বাবার মৃত্যুদণ্ড
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী শিশু মায়াকে (৯) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে সৎ বাবা আলামিনকে (৩৭) মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান জনাকীর্ন আদালতে ওই রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে আদালত তাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি আলামিন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত আলামিন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার মঠেরপাড় গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে। নিহত মায়া আক্তার শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানাগেছে, ২০১৬ সালে শরণখোলা উপজেলার মঠেরপাড় গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে মোঃ আলামিনের সাথে নিহতের মা স্বামী পরিত্যাক্তা পুতুল বেগমের বিয়ে হয়। শিশু মায়া আক্তার ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর বিকেল থেকে নিখোঁজ হয়। এর পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওইদিন রাতে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
পুলিশ সন্দেহ জনকভাবে আলামীনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে আসামীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক মঠেরপাড়া এলাকার লিটু মিয়ার ধান ক্ষেত থেকে মায়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত শিশুটির নানা দুলাল হাওলাদার বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় আলামিনকে আসামী করে পরের দিন একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শরণখোলা থানার এসআই আমির হোসেন ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল আলামিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী কালে ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ওই দন্ডাদেশ ঘোষণা করে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট খান সিদ্দিকুর রহমান।
(এসএকে/এসপি/জুলাই ১৮, ২০১৮)