স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় বাজেটে টেকসই উন্নয়নের প্রকৃত পরিকল্পনা থাকা উচিত মন্তব্য বিশিষ্টজনরা বলেছেন, আকার-আকৃতি বাড়ানো হলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে নতুনত্ব নেই। আগের নিয়মেই এই বাজেট হয়েছে। অথচ সমৃদ্ধ দেশ গড়তে বাজেট প্রক্রিয়ায় মৌলিক পরিবর্তন জরুরি। বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সেমিনার হলে বিজনেস স্কুল আয়োজিত বাজেট মূল্যায়ন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফৈয়াজ খান, অধ্যাপক এম এম খান, ডিন ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, জিডিপির উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিনিয়োগ হার ৪০ শতাংশে নিয়ে গেলেই আমাদের প্রত্যাশা সত্যিকার অর্থে পূরণ হবে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের মাত্রা প্রতিবছর কমছে। এ অবস্থা উত্তরণে সুশাসনের পাশাপাশি প্রশাসনিক দক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ আরো বাড়ানো উচিত। তবে এবারের বাজেটে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও সামাজিক সুরক্ষা থাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে আখ্যা দেন তারা। অনুষ্ঠানে গ্রিন বিজনেস স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে বাজেট বিশ্লেষণ করেন।

(এম/এসপি/জুলাই ১৯, ২০১৮)