রঘুনাথ খাঁ,সাতক্ষীরা : ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম আলমগীর হোসেন (৩৪)। সে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপাজেলার ধুমঘাট গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক দিন মজুরের ১০ বছরের মেয়েকে ২০০৯ সালের ১৮ মার্চ রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে জনৈকা জামিলা খাতুনের বাড়ি থেকে ২০০ গজ পশ্চিম দিকে একটি মাঠে ধর্ষণ করে ধুমঘাট গ্রামের আলমগীর হোসেন। পরে ধর্ষিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় জামিলা খাতুনের বাড়ির পাশে কেয়ারের রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যায়। মেয়েটির আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় নাছিরাবাদ মসজিদের পাশ থেকে স্থানীয়রা আলমগীর হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ধুমঘাট (শীলতলা) গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথ গাইনের ছেলে গ্রাম পুলিশ চিত্তরঞ্জন গাইন বাদি হয়ে পরদিন থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্য্যামনগর থানার উপপরিদর্শক অনিমা রানী দাস ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল এজাহারভুক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পাঁচজন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে আসামী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সন্দোহতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে উপরোক্ত কারাদণ্ডাদেশ দেন। আদেশ দেওয়ার সময় আসামী পলাতক ছিল।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু।

(আরকে/এসপি/জুলাই ১৯, ২০১৮)