সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : র‌্যাব তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতেই খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, এসিড সস্ত্রাস, চুরি ও চোরাচালান সংক্রান্ত বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করাসহ দূষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১২ এর আওতাধীন বিভিন্ন কোম্পানী/ক্যাম্প সমূহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি এবং বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ইতিমধ্যে অত্র এলাকার জনমনে আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এমনকি র‌্যাব-১২ তার নিজ এলাকায় হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, ডাকাতিসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনা সমূহের ছায়া তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটন এবং গুরত্বপূর্ণ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সঠিক কারণ উদঘাটন পূর্বক চাঞ্চল্যকর মামলার আসামীদের গ্রেফতারে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও ক্যাম্প কমান্ডার মোঃ সাকিবুল ইসলাম খান বলেন, অদ্য (২০ই জুলাই) সময় রাত আনুমানিক ২ ঘটিকা হইতে ৪ ঘটিকার সময় সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে দাদপুর এলাকায় মহাসড়ক সংলগ্ন জুবা ফুড গার্ডেন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর উত্তর পার্শ্বে জনৈক মোঃ আঃ বারিক(৪০) এর পরিচালিত পানের দোকানে এবং একই এলাকার জনৈক মোঃ জিল্লুর রহমান(৫৫) এর বসত বাড়ীতে পৃথক দুই অভিযান পরিচালনা করে।

মোঃ জিল্লুর রহমান(৫৫), পিতা- মৃত নুর মোহাম্মদ, সাং- দাদপুর, থানা- সলঙ্গা, জেলা- সিরাজগঞ্জ, মোঃ মাসুদ রানা(২০), মোঃ নাছির উদ্দিন(২৫),উভয় পিতা- মোঃ রুহুল আমিন, সাং- আঙ্গারু, থানা- সলঙ্গা, জেলা- সিরাজগঞ্জ, মোঃ আঃ বারিক(৪০), পিতা- মৃত আরু শেখ, সাং- দাদপুুর, থানা-সলঙ্গা, জেলা- সিরাজগঞ্জদের নিকট হইতে ৫৬০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

জিঙ্গাসাবাদে জানা যায় যে, মোঃ জিল্লুর রহমান (৫৫) সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন মুরাদপুর ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও জুবা ফুড গার্ডেন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর মালিক । সে দীর্ঘদিন যাবত তার হোটেল ব্যবসার অন্তরালে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে।

সে তার রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মোঃ নাছির উদ্দিন(২৫) এবং মোঃ মাসুদ রানা (২০) এর মাধ্যমে উক্ত হোটেলের পার্শ্ববর্তী পান বিক্রেতা মোঃ আঃ বারিক(৪০) এর নিকট ইয়াবা সরবরাহ করত এবং পান বিক্রেতা আঃ বারিক সেই ইয়াবা বিভিন্ন দূরপাল্লার বাসের হেলপার ও ড্রাইভারদের মধ্যে বিক্রি করে বিক্রয়লব্দ অর্থ ম্যানেজারের মাধ্যমে তাকে প্রদান করত। সে দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকা থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ইয়াবা আমদানী করতেন।

র‌্যাব -১২ এর মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে হোটেল ব্যবসার অন্তরালে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার ব্যবসায়ী চক্রকে অতি অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে যা র‌্যাবের ধারাবাহিক সফলতার একটি নিদর্শন। ভবিষ্যতে র‌্যাবের এই ধরণের মাদক বিরোধী অভিযান বাংলাদেশকে একটি মাদক ও অপরাধমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন এলাকাবাসী।

(এমএএম/এসপি/জুলাই ২০, ২০১৮)