নিউজ ডেস্ক : লাল রঙের গ্রহ মঙ্গলের ওপর নানারকম আভা বা আলোকচ্ছটা জীবনের নিশানা নয়। ওই দাগগুলো সম্ভবত চকচকে পাথরের ঝিলিক যা ক্যামেরায় উঠে এসেছে। 'রোভার মারস এক্সপ্লোরেশন' এর তোলা ছবিগুলোর ওই অদ্ভুত নিশানাগুলোকে প্রাণের অস্তিত্ব বলে মনে করেছিলেন অনেকে।

নাসার প্রকৌশলীরা যাবতীয় বিষয় নিয়ে গবেষণা করে মত দিয়েছেন যে, সূর্যের রশ্মি ক্যামেরার সেন্সর দিয়ে আলোর প্রতিফলনের কারণে মঙ্গলের দেহের বিভিন্ন অংশে এমন দাগ ফুটে উঠেছে।

ইউএফও ব্লগার স্কট ওই ছবিগুলো দেখে বলেছিলেন, ওইসব নিশানা আসলে মঙ্গলে বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্বের প্রমাণ। পরে নাসা ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে জানায়, ক্যামেরায় ছবি তোলার সময় আলোর কারসাজিতেই এমন দৃশ্য ফুটে উঠেছে। সূর্যের আলো মঙ্গলের পাহাড়ে প্রতিফলিত হওয়ার সময় যে ছবিগুলো নেওয়া হয়েছে সেগুলোতেই এমন অদ্ভুত কিছু স্পট ফুটে উঠেছে।

রোভার সায়েন্স টিমও ছবিগুলো নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারা বলছেন, মহাজাগতিক রশ্মি ক্যামেরার লেন্সে প্রতিফলিতে হওয়ার কারণেও এমন চিত্র ফুটে ওঠা অস্বাভাবিক নয়।

তবে এও দেখেছে যে, মঙ্গলের ওই বিশেষ স্থানগুলোতেই আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হয়। আগ্রহ থেকেই মঙ্গলে হাজার হাজার ছবি তোলা হয়েছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এমন আলোর ঝিলিক বিশেষ স্থানে দেখা গেছে।

ওই ছবিগুলো তুলতে দুটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। যার একটি ডান চোখ এবং অপরটি বাম চোখ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ছবি তোলার পর দেখা যায়, ডান চোখে ওই আলোকচ্ছটা ধরা পড়লেও বাম চোখে তা পড়ে না।


(ওএস/এটি/ এপ্রিল ১৪, ২০১৪)