আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ষ্টোর রুম ৭ দিন ধরে তালাবদ্ধ করে রাখায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গর্ভবতীসহ এলাকার অসহায় দরিদ্র সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুলিশাখালী ইঊনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী কমিনিউটি মেডিকেল অফিসার ফাতেমা বেগম তার স্বামীর ব্যবহৃত মটরসাইকেল পরিবার কল্যান পরিদর্শিকার ওষুধ রাখার ষ্টোর রুমে রেখে ৭ দিন ধরে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।

যার কারণে ঐ ইউনিয়নের পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা ফরিদা বেগম জানান, ৭দিন ধরে ষ্টোর রুম বন্ধ থাকায় গর্ভবতী নারী ও শিশুদের কোনো ওষুধ দিতে পারছি না। একাধিকবার উপসহকারী কমিনিউটি মেডিকেল অফিসার ফাতেমা বেগমকে ষ্টোর রুম খুলে দিতে বললেও তিনি তা খুলে দিচ্ছেনা না।

শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সামনে গর্ভবতী নারী ও শিশু রোগীরা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ওষুধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

ডালাচারা গ্রামের গর্ভবতী নারী তাছলিমা বেগম (৩০) জানান, তিন কিলোমিটার পথ হেটে গত বৃহস্পতিবার ওষুধ নিতে এসে ষ্টোর রুম তালাবদ্ধ থাকায় ওষুধ নিতে পারি নাই। আজ শনিবার এসেছি তাও তালাবদ্ধ ওষুধ না নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। নাইয়াপাড়া গ্রামের জেসমিন ও মাহিনুর জানান, তারা তাদের শিশু সন্তানকে নিয়ে দুই বার চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছেন, কিন্তু ওষুধ না নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। এ ভাবে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় তিন শতাধিক রোগী ওষুধ না নিয়ে ফিরে গেছে।

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত উপসহকারী কমিনিউটি মেডিকেল অফিসার ফাতেমা বেগম কেন্দ্রে উপস্তিত না থাকায় মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে এ ব্যপারে কথা বলবেন বলে মুঠোফোন এর সংযোগ কেটে দেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা: শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, বিষয়টি শুনেছি তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেন বলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা: হুমায়ুন শাহিন খান বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক, তদন্ত পূর্বক জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. মোখলেচুর রহমান বলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে কথা বলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এন/এসপি/জুলাই ২১, ২০১৮)