মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনিতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে রুটি পড়ার সাথে চেতনানাশক খাইয়ে আপন দুই ভাইকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের দুজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে ওই এলাকায় দুপক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয় রবিবার সকালে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার পূর্ব আলীপুর গ্রামের রহিম সরদারের মেয়ে তামান্না বেগমের ঘর থেকে সম্প্রতি কিছু স্বর্ণলংঙ্কার হারিয়ে যায়। পরে এ স্বর্ণ হারোনোর ঘটনায় রহিম সরদারের স্ত্রী খুরশিদা বেগম একজন কবিরাজের কাছ থেকে রুটি পড়া এনে খাওয়ানোর আয়োজন করেন।

কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সেই রুটি পড়ার সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে জোর করে চাঁপ প্রয়োগ করে। পরে গত বৃহস্পতিবার সকালে খাওয়ানো হয় একই এলাকার আপন দুই ভাই এনামুল সরদার ও বাবুল সরদারকে। এতে করে তারা দুই ভাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটে পরে। স্থানীয় লোকজন তাদের দুজনকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

রবিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, তারা এখনও অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। এ ঘটনায় কালকিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী বাবুলের স্ত্রী কুলসুম বেগম।

ভুক্তভোগী বাবুলের স্ত্রী কুলসুম বেগম বলেন, খুরশিদা বেগমের সাথে আমাদের পূর্বশত্রুতা চলে আসছে। তাই আমার স্বামী ও দেবরকে হত্যার উদ্দেশ্যে রুটির সঙ্গে বিষাক্ত চেতনা নাশক খাওয়ানো হয়েছে।

অভিযুক্ত খুরশিদা বেগম বলেন, আমাদের স্বর্ণ হারানো গেছে, তাই আমরা রুটি পড়া খাওয়াছি।

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার রেজাউল করিম বলেন, রুটি পড়া বলতে আসলে কিছু নেই। এটা একটা কু-সংস্কার প্রথা। তবে তাদের খাবারের সঙ্গে বিষক্রিয়া কিছু খাওয়ানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি কৃপা সিন্ধ বালা বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এএসএ/এসপি/জুলাই ২২, ২০১৮)