নিউজ ডেস্ক : নিজের স্মার্ট ফোনটি বেচে দেওয়ার আগে সাবধান! খুঁটিয়ে দেখে নিন ফোন থেকে সত্যিই আপনার ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ টেক্সট ও ছবি ডিলিট হয়েছে কি না। না হলে পরে পদে পদে পস্তাতে হতে পারে।

সম্প্রতি মহা বিড়ম্বনায় পড়েছেন সেকেন্ড হ্যান্ড অ্যান্ড্রয়েড ফোন বিক্রেতারা। তাঁদের কাছে প্রায়ই সাংঘাতিক নালিশ নিয়ে ফিরে আসছেন গ্রাহকরা। অভিযোগ, সদ্য কেনা ফোনের মধ্যে রয়েছে অজস্র অশ্লীল ছবি। ব্যাপারটা সরেজমিনে দেখতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে কলকাতার গবেষকদের। পুরনো মালিকের ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা এমনই বহু নথি ও ছবি থেকে যাচ্ছে স্মার্টফোনের মেমোরিতে। ফোন ঘাঁটতে গিয়ে আচমকা সেই সব তথ্য ভেসে উঠছে স্ক্রিনে, যার জেরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ছেন নতুন গ্রাহক।

জানা গেছে, ১০০০টি স্মার্টফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার অশ্লীল ছবি যেখানে আগের মালিক ও তাঁর সঙ্গীদের বিভিন্ন নগ্ন ছবি রয়ে গেছে। বহু মহিলার খোলামেলা ছবিও রয়েছে তালিকায়, যা তাঁদের অজান্তেই নাগালে আসছে অপরিচিতের। এমনই একটি ফোন থেকে মিলেছে পূর্বতন মালিকের যৌন আবেদনঘন ২৫০টি সেলফি, যা দেখে বিষম খেয়েছেন নয়া ইউজার।

ফোন বেচার আগে সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি মেমোরি থেকে মুছে ফেলাই দস্তুর। তাহলে কিভাবে থেকে যাচ্ছে এই সব ছবি?

স্মার্টফোন বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের তথ্য মুছে ফেলার প্রক্রিয়াতেই রয়েছে গলদ। জানা গেছে, ফোনের 'ফ্যাক্টরি রিসেট' অপশনে গিয়ে ডিলিট করলে শুধুমাত্র তথ্যের লোকেশনই মুছে যায়। অথচ তথ্যটি বহাল তবিয়তে রয়ে যায় ফোনের মস্তিষ্কে। এর ফলে পরবর্তী কালে স্ক্রিনে ভেসে ওঠে সেই সমস্ত 'মুছে দেওয়া' ছবি বা টেক্সট।

গবেষকদের দাবি কিন্তু উড়িয়ে দিয়েছে গুগল। সংস্থার প্রযুক্তিবিদদের যুক্তি, অ্যান্ড্রয়েডের পুরনো সংস্করণ ঘেঁটেই এই তত্ত্বে পৌঁছেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, নয়া স্মার্টফোনে এই খামতি নেই।

গুগলের যুক্তি মেনে নিলে, যে সমস্ত গ্রাহক অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ০.৪ ব্যবহার করছেন, তাঁরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। সংস্থার দাবি, এই ফোনে রয়েছে 'encrytion' অপশন যা 'settings'-এ গিয়ে 'security'-তে পাওয়া যায়। এই অপশনের সাহায্যে পুরনো যাবতীয় ছবি ও টেক্সট চিরতরে ফোন থেকে ডিলিট করে দেওয়া সম্ভব। জানা গেছে, 'encrytion' অপশনের সুবিধে রয়েছে iOS ফোনেও।

তবে এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে চাইলে আপনার ফোনে dummy data লোড করে নিতে পারেন। এর সাহায্যে ফ্যাক্টরি ওপশন মারফত ফোন থেকে নথি মুছে দেওয়া সম্ভব।

(ওএস/এস/জুলাই ১৪, ২০১৪)