নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনায় ডাকাতি ও হত্যার দায়ে তিনজনের ফাঁসি ও ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- খালিয়াজুরী উপজেলার ওসমান গণি, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাহের (অনুপস্থিত), ও শাল্লা উপজেলার কাউসার আহমেদ।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শহীদ মিয়া (অনুপস্থিত), জ্যোতি মিয়া (অনুপস্থিত), মহিবুর ডাক্তার (অনুপস্থিত), রমজান মিয়া (অনুপস্থিত), সিদ্দিক মিয়া (অনুপস্থিত), মনু মিয়া (অনুপস্থিত), ইসলাম উদ্দিন (অনুপস্থিত), শাজাহান (অনুপস্থিত), তাহের (অনুপস্থিত), কবির (অনুপস্থিত), রোজ আলী, জিয়াউল হক (অনুপস্থিত), শফিক (অনুপস্থিত), দিদার (অনুপস্থিত), খলিল (অনুপস্থিত), আক্কাস (অনুপস্থিত), হীরা, কালইয়া (উস্তারআলী) (অনুপস্থিত), শুক্কুর (অনুপস্থিত) ও রুক্কেয়া (রহিম)। মামলা চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। এদের প্রত্যেকের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায়।

মামলার বিবরণে জানা য়ায়, নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার গোয়ালবাড়ী আদমপুর গ্রামে ২০১১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে ২৫/৩০ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল মনোরঞ্জনের বাড়িতে ডাকাতিকালে গ্রামবাসী টের পেয়ে ডাকাতদের ঘেরাও করে। এ সময় ডাকাতরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। ডাকাতদের গুলিতে গৃহকর্তা মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে চয়ন সরকার (২৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে ওইদিনই নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে খালিয়াজুরী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০২(৯) ২০১১। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

বিজ্ঞ বিচারক ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রামাণিত হওয়ায় আজ এই রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি (চলতি দায়িত্বে) সাইফুল আলম প্রদীপ ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ খান মামলাটি পরিচালনা করেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৪, ২০১৮)