স্টাফ রিপোর্টার : বাণিজ্য সম্প্রসারণে ঢাকা ও জাকার্তা রুটে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনে বিমান যোগাযোগ চালু করা অত্যন্ত জরুরি, যার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগে সময় বাঁচবে ও ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্রাস পাবে।

সোমবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খানের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোমারনোর সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির এবং ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের কাউন্সিলর (ইকোনেমিক অ্যাফেয়ার্স) ইনগ্রিদ রোজালিনা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বাংলাদেশের সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, জাহাজ নির্মাণ এবং মেশিনারিজ খাতে বিনিয়োগের জন্য ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

তিনি আরও বলেন, মুসলিম ভাতৃপ্রতিম দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্প্রসারণে আকাশ পথে সরাসরি ঢাকা ও জাকার্তার মধ্যকার যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনে বিমান যোগাযোগ চালু করা অত্যন্ত জরুরি, যার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগসময় বাঁচবে ও ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্রাস পাবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়ন ও পণ্য বহুমুখীকরণ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাতের বিকাশ ও দক্ষ জনবল তৈরিতে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতার আহ্বান জানান।

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোমারনো বলেন, গত বছর ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশসফরের সময় ৫টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে সামনের দিনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় দুদেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির খসড়া তৈরির করা হয়েছে এবং এ চুক্তিটি চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে শিগগিরউ ঢাকায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি এ বছরের আগামী অক্টোবর মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত “৩৩তম ট্রেড এক্সপো”তে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের আরও বেশি হারে ইন্দোনেশিয়ায় পণ্য রফতানির ওপর জোরারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত ঢাকা ও জাকার্তার মধ্যকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে বলেন, এ ব্যাপারে দুদেশের সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক। তিনি বাংলাদেশ থেকে হালাল পণ্য রফতানির জন্য ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৪, ২০১৮)