মাহমুদুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত না : জেলা ছাত্রলীগ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় মানহানি মামলায় জামিন নিতে এসে আদালত চত্বরে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেছে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমনটা দাবি করেছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার।
তুষার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি মামলার বাদী। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আদালত চত্বরে আমরা উপস্থিত ছিলাম। পরবর্তীতে বৈরী আবহাওয়ার কারনে বেলা ৩টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে
আদালত চত্বর ত্যাগ করি। তারপরে জানতে পারি আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় দূর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মাহামুদুর রহমানের ভাড়াকরা পুরাতন প্রাইভেট কারটি ভাংচুর করে। এ ঘটনার সাথে কোন ভাবেই
ছাত্রলীগ জড়িত নয়।
তিনি আরো বলেন, জামায়াত বিএনপি নিজেদের রাজনৈতিক দ্বন্দের জেরে ছাত্রলীগকে ফাঁসাতে এই কর্মকান্ড ঘটিয়েছে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ আহাম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।
সাদ আহাম্মেদ দাবি করে বলেন, আদালত চত্বরে আমার দেশ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বিএনপি পন্থী আইনজীবি ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক শেষ করে বাইরে বের হয়েছে।
বিএনপিপন্থী আইনজীবিরা তাকে আদালত চত্বর থেকে বের করে নিয়ে যায়। তারপর দূর্বৃত্তরা মুখে গামছা বেঁধে গাড়িতে হামলা চালিয়ে মাহমুদুর রহমানের উপর হামলা চালায়।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। ছাত্রলীগ কখনো মুখে গামছা বেঁধে হামলা করে না। এটা বিএনপি জামাতের রাজনৈতিক দ্বন্দের জের।
তিনি প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, হামলায় তো কোন বিএনপিপন্থী আইনজীবি আহত হতে দেখা যায়নি। এটাই প্রমান করে যে বিএনপি জামাত নিজেদের রাজনৈতিক দ্বন্দ নিয়ে মুখে গামছা বেঁধে হামলা
চালিয়ে ছাত্রলীগকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মুলত জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ও বর্তমান সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর রাজনৈতিক দ্বন্দের জেরে তারাই এ হামলা
চালিয়েছে। আমরা প্রশাসনকে বলেছি যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
(কেকে/এসপি/জুলাই ২৪, ২০১৮)