স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ১লাখ ৪২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা গায়েব কেলেঙ্কারির ঘটনায় খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদসহ ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টায় পার্বতীপুর মডেল থানায় দুর্নীতি দমন আইনের ৫ (২) এবং ৪০৯ ধারায় ওই মামলা দায়ের করেছেন খনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিছুর রহমান। 

কয়লা চুরির ঘটনায় আসামি করা হয়েছে. খনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বর্তমানে ওএসডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদ, সাময়িক বরখাস্ত মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খালেদুল ইসলাম, সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) আবুল কাশেম প্রধানিয়া, সাবেক মহাব্যবস্থাপক কোম্পানি সচিব মোশারফ হোসেন, ব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিসেস) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) জাহিদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) একরামুল হক, উপ-ব্যবস্থাপক (সেইফটি ম্যানেজমেন্ট) খলিলুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) মোর্শেদুজ্জামান, উপ-ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) হাবিবুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট); জাহিদুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট), সত্যেন্দ্র নাথ বর্মন, সহকারী ব্যবস্থাপক (ভেনটিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সৈয়দ ইমাম হাসান, ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) জোবায়ের আলী, উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্লানিং অ্যান্ড অপারেশন) আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) এবং গোপাল চন্দ্র সাহা, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) এবং কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ নুরুজ্জামান চৌধুরীকে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রায় ২৩০ কোটি টাকা সমমূল্যমানের ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা ঘাটতি অথবা চুরির সঙ্গে ওই ১৯ কর্মকর্তা জড়িত বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগে, মজুদকৃত কয়লার হিসাবের গড়মিলের বিষয়টি দূর্ণীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) এবং ৪০৯ ধারা অনুযায়ী এজাহারভুক্ত করে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করা হয়।

অভিযোগে দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পার্বতীপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকরুল ইসলাম জানান, এজাহারে কিছু ত্রুটি রয়েছে। তাছাড়া নিরাপরাধ কেউ যাতে অযথা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসএএস/এসপি/জুলাই ২৫, ২০১৮)