সিলেট প্রতিনিধি : মহানগরে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ও আধুনিক শিল্পপার্ক স্থাপন এবং নগরজুড়ে পাতাল বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনসহ ৩৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন সিলেটে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।

বুধবার দুপুরে তিনি নগরের মির্জাজাঙ্গালস্থ একটি অভিজাত হোটেলে তার ইশতেহার ঘোষণা করেন।

ইশতেহার ঘোষণা সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দুইবারের নির্বাচিত মেয়র কামরান আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে কান্নাভেজা কন্ঠে কামরান বলেন, এটিই হয়ত আমার শেষ নির্বাচন হতে পারে। সিলেটবাসী আমাকে বারবার ভোট দিয়েছেন। তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিয়ে শেষ করার মতো নয়। তবু আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। এবারও সিলেটবাসী আমাকে নির্বাচিত করলে আমি তাদের ভালোবাসার সর্বোচ্চ প্রতিদানের চেষ্টা করবো। নাগরিক জীবন যাতে আরও সুন্দর ও স্বচ্ছন্দ হয়, আমি তাই করবো।

তিনি বলেন, সিলেট শহরকে মাদকমুক্ত করবো। এব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণ করা হবে।

৩৩ দফা ইশতেহারে মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- নগরে বিশ্বমানের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, বিশ্বমানের হাসপাতল ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা, প্রতি সপ্তাহে ওয়ার্ডভিত্তিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পুরো মহানগরে পাতাল বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন, যানজটমুক্ত সিলেট নগরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও নগরে লিংকরোড নির্মাণ, ফুটপাত হকারমুক্ত করা ও উচ্ছেদকৃত হকারদের পুনর্বাসনের জন্য নতুন করে ৪টি হাকার্স মার্কেট নির্মাণ, দখল হওয়া ছড়া খাল উদ্ধার ও খনন করা, সুরমা নদী ড্রেজিং করা, মহানগরে গ্যাস সংযোগ চালুর উদ্যোগ, শতভাগ বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, আধুনিক নগর পরিবহন ব্যবস্থা ও নারীদের জন্য আলাদা পরিবহন, সৌন্দর্যবর্ধন, বর্তমান কারাগারের জায়গায় আধুনিক নগরপার্ক নির্মাণ, টেমস নদীর আদলে সুরমার দুইপার আধুনিকায়ন, খেলার মাঠ, দিঘী, টিলা সুরক্ষা, অত্যাধুনিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ, খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদন, কারিগরি শিক্ষা ও উন্নত প্রশিক্ষণ, শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও স্বাবলম্বি করে তুলতে উদ্যোগ নেয়া, সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন, প্রবাসীদের হয়রানি রোধে ও বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা, সিলেট নগরকে গ্রিন সিটি হিসেবে গড়ে তোলা, প্রতিটি ওয়ার্ডের আবর্জনা যথাসময়ে অপসারণ করা, আইনশৃঙখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রতিটি ওয়ার্ডকে সিসি ক্যামেরার আওয়াতায় নিয়ে আসা, সিলেটকে প্রথম ডিজিটাল নগর হিসেবে গড়ে তোলা, নতুন কর আরোপ না করে মহানগরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা, মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা ও মাদকমুক্ত সিলেট গড়ে তোলা।

এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও আহমদ হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদউদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৫, ২০১৮)