ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে গাংগুটিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনায় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের সম্ভাবনা ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন গংদের ক্রয়কৃত জমি বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের দখলের পায়তারা অভিযোগ উঠেছে।

এ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নের্তৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে এলাকায় কয়েক দফায় শালিসী বৈঠকও হয়েছে। ওই শালিসী বৈঠকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের কোন দলিল শো করতে সক্ষম হয়নি। এনিয়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম বির্তক।

চেয়ারম্যানের পক্ষের এলাকার আলতাপ হোসেন নামের জৈনক ব্যক্তি তার দলবল নিয়ে বৈঠকে জোর দাবী করে বলেন এই জমি গাংগুটিয়া হাঠের জমি। এটা কেউ মালিক হতে পারে না বলেন। তিনি তার দলবল নিয়ে আজ বিকেলে ঘটনাস্থ ইউপি ভবনে বৈঠক চলাকালে এমন কথা উত্তেজনার সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ করেন জমি ক্রয়কারীরা।

বিজয় টিভির ধামরাই প্রতিনিধি মোঃ জোলহাস উদ্দিন বলেন তারা সঠিক মালিক ও কাগজ পত্র দেখেই জমি ক্রয় করেছি। স্থানীয় আলতা গং ও চেয়ারম্যান কাদের এনিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন বলে অভিযোগ করেন।আমরা মাটি ও ইট ফেলেছি এই গ্রুপটি বাধা দিয়ে আমাদের হয়রানির অভিযোগ করে বলেন হিন্দুদের সম্পতি সুযোগ পেলেই সমস্যার সৃষ্টি করে তাদের হয়রানি করার অভিযোগ করেনতিনি।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে কোনো হাট এখন বসে না,পতিত জমি। উপস্থিত লোক জন এ কথা জানিয়েছেন। গাংগুটিয়া ইউপির পুরাতন ও নব নির্মিত ভবনের মধ্যখানে পতিত জমিতে একটি বড় বটবৃক্ষ রয়েছে দন্ডায়মান। মঙ্গলবার বিকেলে এঘটনাকে কেন্দ্র করে ধামরাই ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার গন ওই জমির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এখনো কোনো বিষয়ে সিদান্ত প্রদান করেননি তারা ।

এ সময় ধামরাই থানার পুলিশের এসআই ভজন রায় তার ফোর্স নিয়ে উপস্থিত থেকে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। তিনি বলেন পরবর্তীতে আরো তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।

চেয়ারম্যান কাদের তার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে। এলাকায় থম থমে ভাব বিরাজ করছে । যে কোন সময় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। ভুক্তভোগি পরিবাররা আতঙ্কে দিন পার করছে।

ভুক্তভোগি জমি ক্রয়কারী মইনুল মাস্টার বলেন, বিগত ৪ বছর পূর্বে একই এলাকার স্বর্গীয় বির্ভুতী কুমার ব্যানার্জীর ছেলে অসিম কুমার ব্যানার্জীর কাছ থেকে সাব-রেজিষ্ট্রি করে জমি ক্রয় করেন। জমির এস এ দাগ-(৫৫৮) আর এস দাগ-(৩৪৯)।

পরে একই দাগ থেকে গাংগুটিয়া পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন গং জমি ক্রয় করেন। এরপর জমিতে কাজ করতে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের স্থানীয় অতি উৎসাহীদের সঙ্গে নিয়ে কাজে বাঁধা প্রধান করেন বলে অভিযোগ করেন ।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি জমি ক্রয়কারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাংগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন,সঠিক কাগজ দেখে জমি ক্রয় করেছি। জমিতে কাজ করতে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান স্থানীয় তার বাহিনী নিয়ে চাঁদার দাবিতে কাজে বাঁধা প্রধান করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে গাংগুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন,এই জমি স্থানীয় হাঠের নামে ওয়াকফা করা বিধায় বাঁধা প্রধান করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি মইনুল মাস্টার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এস আই) ভজন রায় বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(ডিসিপি/এসপি/জুলাই ২৫, ২০১৮)