টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার পরবর্তী স্বাক্ষ্যগ্রহন ৫সেপ্টেম্বর। এর আগে সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামী আমানুর রহমান খান রানা এমপি কে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয়।

দুপুর আড়াইটায় একই আদালতে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন আদালতের বিচারক প্রথম ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাকসুদা খানম। এতে নিহত ফারুকের মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিঠুন আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। স্বাক্ষ্য প্রদান শেষে আসামীপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। পরে ফারজানার স্বাক্ষ্য প্রদান ও জেরা সমাপ্ত হয়। বিচারক এ মামলার অন্যান্য স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ পরবর্তী ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ ধার্য করেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল প্রথম ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাকে হাজির করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামী রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

এর আগে সকাল সোয়া ১১টায় এমপি আমানুর রহমান খান রানার বড় ভাই চাঞ্চল্যকর আমিনুর রহমান খান বাপ্পী হত্যা মামলায় বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন আদালতের বিচারক প্রথম ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাকসুদা খানম। এই মামলায় পূর্বের ধার্যকরা তারিখে এমপি রানার স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। আসামীপক্ষের আইনজীবীরা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আংশিক জেরা সমাপ্ত করে। পরে আদালতের বিচারক আগামী ৩০ আগষ্ট ২০১৮ইং তারিখ অসমাপ্ত জেরার জন্য দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়ার নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তরা আমিনুর রহমান খান বাপ্পী কে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ওই সময় বাপ্পীর বন্ধু মতিনকেও একইভাবে হত্যা করে। ঘটনার দুইদিন পর ২৩ নভেম্বর বাপ্পীর বাবা আতাউর রহমান খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে স্বাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামীপক্ষের আইনজীবীরা আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন শুনানি শুরু করেন। পরে বিচারক আসামীপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শুনেন। জামিন শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামুঞ্জুর করেন।

(এনইউ/এসপি/জুলাই ২৬, ২০১৮)