সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে পশুর হাট না বসাতে দাবি জানিয়েছেন, কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জুলফিকার হোসেন। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত একটি মাত্র খেলার মাঠ। আর এই মাঠটি জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের। 

মাঠটিতে সব সময়ই বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইন শৃংখলা কমিটির সভায় বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটিতে আর পশুর হাট না বসাতে দাবী জানান প্রধান শিক্ষক।

উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকতাদিরুল আহমেদ। সভায় প্রধান শিক্ষক বলেন, খেলার মাঠে পশুর হাট বসালে পশুর বিষ্ঠা এবং বৃষ্টির পানিতে কাঁদায় সয়লাব হয়ে যায় মাঠটি। এর ফলে মাঠে খেলার পরিবেশ একেবারেই নষ্ঠ হয়ে যায়। এছাড়া মাঠের উত্তর পাশে জায়গাতে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে মাঠটি দখল করে আছে কয়েকজন ব্যবসায়ী।

প্রধান শিক্ষক মো: জুলফিকার হোসেন জানান, খেলার মাঠের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য বা সরিয়ে নিতে এর আগেও উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় দাবি তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু অবৈধ স্থাপনাগুলো বিভিন্ন জাতীয় দিবস এলে অথবা কোন রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশ হলে কয়েক ঘন্টার জন্য সরিয়ে নেয়া হয়। এর পর আবার এসব স্থাপনা বসানো হয়।

এ সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, অফিসার ইনচার্জ, ইউপি চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং আইন শৃংখলা কমিটির সদস্যগণ।

প্রধান শিক্ষকের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন ভূঞার সঙ্গে পশুর হাট সম্পর্কে সভায় কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি সমকালকে বলেন, সভায় আলোচনা করেছি, পৌরসভার পশুরহাটটি নিচু জায়গায় অবস্থিত, বর্ষাকালে পানি জমে থাকে। ঈদ আসন্ন, তাই তড়িগড়ি করে অনত্র পশুর হাট সরিয়ে নেয়া খুবই কঠিন। তাছাড়া অন্যত্র হাট বসানোর কোন জায়গাও নেই।

তিনি বলেন, পৌরসভার মেয়র সভায় উপস্থিত না থাকায় পরবর্তী সময়ে তাকে নিয়ে আলোচনা করে বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বসানোর আগে ট্রলি দিয়ে বালু ফেলে মাঠের গর্ত ভরাট করা হবে। কর্দমাক্ত পরিবেশ দূর করে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেই পশুর হাট বসানো হবে। যাতে পশুর হাটের পর খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট না হয়।

এ ব্যপারে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকতাদিরুল আহমেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইলে কোন সারা দেন নি।

(এসবি/এসপি/জুলাই ২৬, ২০১৮)