লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেও তালিকায় নাম নেই নিজাম উদ্দিনের ! এমন আক্ষেপ করে শুক্রবার (২৭ জুলাই) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে নিজাম উদ্দিন বলেন, ৮ নম্বর সেক্টরের অধীনে নড়াইলের কমান্ডার তসলিমুর রহমান এবং গোপালগঞ্জের হেমায়েত বাহিনীর নেতৃত্বে মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহন করি। দীর্ঘ নয় মাস ধরে নড়াইলসহ বিভিন্ন এলাকায় পাক-হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের প্রতিহত করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করি। মুক্তি যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মহম্মদ আতাউল গণী ওসমানী স্বাক্ষরিত স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি সনদপত্র আমাকে প্রদান করেন। দুঃখের বিষয়, আমি মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষার মাধ্যমে যুদ্ধ করেও এবং ওসমানী সনদ পেয়েও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় এতোদিনেও নাম ওঠেনি। ২০১৭ সালে পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই কার্যক্রম শুরু হলে আবেদন করেছি। এবার যেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি স্বীকৃতি পাই। এ ব্যাপারে সবার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন রেজভী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে আমি নড়াইলের পুলিশ লাইন এলাকা, পিরোলীসহ বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ করেছি। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার স্বীকৃতি চাই। এতোদিনেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়াটা দুঃখজনক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা তসলিমুর রহমান, লোহাগড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রেজাউল করিম খান প্রমুখ।

জানা যায়, প্রায় ৪২ বছর আগে নির্মল বিশ্বাস থেকে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন। পরবর্তীতে তার নাম ‘নিজাম উদ্দিন’ রাখা হয়। প্রায় ১৮ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আমার দু‘পা হারিয়ে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন। বর্তমানে নড়াইল-কালনা মহাসড়কের লক্ষীপাশা এলাকায় সড়ক ও জনপদের সরকারি জায়গায় বসবাস করছেন। তিনি হুইল চেয়ারে বসে পথে পথে ভিক্ষা করেন। চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন।

(আরএম/এসপি/জুলাই ২৭, ২০১৮)