ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর বাঁশেরবাদা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ৩ ছাত্রী (বান্ধবী) এক সাথে বিষ পান করে আত্মহত্যার প্রচেষ্টা করেছে। এদের মধ্যে শনিবার (২৮ জুলাই) সকালে বর্ষা খাতুন (১৪) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বর্ষা পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের চরসাহাদিয়ার গ্রামের কবি শেখের মেয়ে।  অপর ২ বান্ধবীরা হলো,  চরসাহাদিয়ার গ্রামের তালেব হোসেনের মেয়ে ববিতা খাতুন (১৪) ও কুবের দাসের মেয়ে সঙ্গীতা দাস (১৪)।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের চরসাহাদিয়ার গ্রামে ত জনের একযোগে বিষপানের এই চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঈশ্বরদী ও পাবনা সদর উপজলোর সীমান্তবর্তী গ্রাম চরসাহাদিয়ার। এই গ্রামের অধিকাংশ ছেলে ও মেয়ে বাঁশেরবাদা উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। একই সাথে ৩ বান্ধবীর বিষপানের ঘটনা এলাকায় ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়ে সঠিকভাবে কেউই কিছু বলতে পারছেন না।

এলাকার পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সালাম জানান, প্রাথমিক অবস্থায় ৩ জনের পেট হতে বিষ বের করা হয়। কিন্তু বর্ষার অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাকে পরিবারের লোকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। ববিতা বিষ মুক্ত হওয়ায় তাকে পরিবারের লোকজন বাসায় নিয়ে যায়। আর সঞ্চিতার অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বাঁশেরবাদা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম জানান, এই ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। স্কুলের পরীক্ষা হয়েছে, তবে ফলাফলও এরমধ্যে প্রকাশ হয়নি। এমনকি এই ছাত্রীদের নিয়ে স্কুলে কোন অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়েদুল হক জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই ছাত্রীদের সাথে কথাও বলেছি। বিজ্ঞান ও অংক পরীক্ষা খারাপ হওয়ার জন্য বিষপান করেছিল বলে তারা পুলিশকে জানিয়েছে। প্রেমঘঠিত কোন বিষয় জানা যায়নি।

(এসকেকে/এসপি/জুলাই ২৮, ২০১৮)