শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্চাচারিতা আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বের রাহু গ্রাসে বিনষ্ট হতে চলেছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়। এ মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি কোন জাতীয় দিবসও পালন হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মনুষ। অধ্যক্ষের অপসারণের দাবীতে পোষ্টারও লাগানো হয়েছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছে অভিভাবক ও স্থানীয় এলালাকাবাসী। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

অধ্যক্ষের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মনুষ। পোষ্টারও লাগানো হয়েছে। এ মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি কোন জাতীয় দিবসও পালন হচ্ছেনা বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এ চিত্র দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঐতিহ্যবাহী মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়টি’র।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও এলাকারবাসীর অভিযোগ ব্যাপক অনিয়ম,দূর্নীতি, স্বেচ্চাচারিতা আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বের রাহু গ্রাসে বিনষ্ট হতে চলেছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঐতিহ্যবাহী মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়টি। শিক্ষার মান ভেঙ্গে পড়ায় সন্তানদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে অভিভাবকরা।
১৯৯৪ সালে প্রায় ২৫ একর জমির উপর স্থাপিত এ মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়টি এখন তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির পাশাপাশি বিদ্যালয় কর্তৃৃপক্ষের খামখেয়ালীপনায় শিক্ষার্থীদের অবিষ্যত বিনষ্ট হতে চলেছে। প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী জনবল নিয়ে চললেও শিক্ষার্থীদের এখন আর প্রকৃত শিক্ষাদান,খেলা-ধূলা আর বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই এ মহা¦িদ্যালয়ে। এমনকি জাতীয় বিবসগুলোও পালন হচ্ছেনা এশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

এলাকাবাসী’র অভিযোগ,মেধা বিবেচনা নয়,টাকার বিনিময়ে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। যোগ্যতা না থাকলেও অবৈধভাবে অধ্যক্ষও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.হাসান আলীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালত ওই বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত অধ্যকস হাসান আলী’র পক্ষে রায়ও দিয়েছে। কিন্তু আদালতের রায়ও উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে।

মহাবিদ্যালয়ে অবৈধ জনবল নিয়োগ আর উন্নয়নের জন্যে ব্যক্তি বা সরকারী বরাদ্দকৃত প্রাপ্ত অর্থ মহাবিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন কাজে না লাগিয়ে তা আত্মসাৎ করছে কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ খোদ মহাবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ফয়জুল হকের।

অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার অধিকারী প্রথমে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে না চাইলেও পরে জানিয়েছেন, কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহল এ কলেজকে ঘিরে ষড়যন্ত্র করছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছেন। যার কোনই সত্যতা নেই।

মুলতঃ অনিয়ম, দুর্নীতি আর ক্ষতার দ্বন্দ্বের অক্টোপাশে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে এ মহাবিদ্যালয়টি। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এ মহাবিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ বিনষ্ট হয়ে যাবে এমনটাই মন্তব্য করেছেন,শিক্ষানুরাগীরা।

(এসএএস/এসপি/জুলাই, ২৯, ২০১৮)